ওয়েব ডেস্ক: লোকসভা ভোটের তুলনায় কলকাতায় বেটার রেজাল্ট। মর্যাদার লড়াইয়ে হাতে এল শিলিগুড়ি। বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোটের ফলাফল কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে আলিমুদ্দিনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোট আসে ভোট যায়। ফল খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এক কথায় এটাই ছিল বাম শিবিরের ছবি। মিনি বিধানসভা ভোটের ফলাফলে সেই রক্তক্ষরণ বন্ধের আশা দেখছেন বাম নেতারা। ২০১০-এ রাজ্যে তখনও চলছে বামফ্রন্ট সরকার।


সে বার কলকাতায় ৩৩ টি ওয়ার্ড পেয়েছিল বামেরা। ক্ষমতা হারানোর পর ২০১৪-র লোকসভা ভোটে সেটা কমে দাঁড়ায় ১১ । এ বার কলকাতায় পনেরোটি ওয়ার্ড পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা।


২০১০-এ শিলিগুড়িতে বামেরা পেয়েছিল ১৪ টি ওয়ার্ড। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে তারা এগিয়েছিল মাত্র ৩ টি ওয়ার্ডে। এ বার ২৪ টি ওয়ার্ডে জিতে বামেদের দখলেই শিলিগুড়ি।


বাকি জেলাতে আহামরি ফল না হলেও ধসে একেবারে ধুয়ে গেল না বামেরা। ২০১০-এর পুরভোটে বারোটি পুরসভায় বামফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে তারা এগিয়েছিল ৫ টি পুরসভায়। এ বার শিলিগুড়ি সহ ৬ টি পুরসভা দখল করতে চলেছে বামেরা।


দিনহাটা, জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, দাঁইহাট, তাহেরপুরে জিতেছে তারা।৫ টির মধ্যে প্রথম ৪ টি পুরসভায় গত লোকসভা নির্বাচনেও বামেরা এগিয়ে ছিল। সোনামুখী এ বার তৃণমূলের হাতে গেলেও তাহেরপুরে তাদের হারিয়ে দিয়েছে বামফ্রন্ট।


৯২ টি পুরসভার ২০৯০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২৬ টি ওয়ার্ড দখল করে তৃণমূলের পরই দ্বিতীয় স্থানে তারা। কলকাতা বাদে জেলার ৪০ টি পুরসভায় একক ভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা।


লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থানের পর বামেরা আর রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তিও থাকবে কিনা তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছিল। পুরভোটের ফলাফল কিন্তু বলছে, আপাতত আলিমুদ্দিনের সে চিন্তা কিছুটা হলেও কাটল। তবে, একইসঙ্গে পরিসংখ্যান বলছে এ বার উনিশটি পুরসভায় খাতা খুলতে পারেনি তারা। ফলে মন্দের ভাল রেজাল্ট নিয়েই ভবিষ্যতের আশায় নতুন করে নামতে হবে বামেদের।