ওয়েব ডেস্ক: মহানন্দা নদী। এক সময় ছিল শিলিগুড়ি শহরের লাইফলাইন। এখন দূষণের গ্রাসে মৃতপ্রায় অবস্থা। শিলিগুড়ি শহরে মহানন্দার দূষণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গ্রিন বেঞ্চের মামলা চলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবেশ বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নদীর বুকে অবৈধ নির্মাণ কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু বিজ্ঞাপনের দাপটে কীভাবে নদীচুরি হচ্ছে, শিলিগুড়ির মহানন্দা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যিক শহরের একেবারে প্রাণ কেন্দ্রে রয়েছে বিখ্যাত মহানন্দা ব্রিজ। সবার নজর কাড়তে এই জায়গাটিই পছন্দ বিজ্ঞাপনদাতাদের। অতএব যেমন ইচ্ছা, তেমন কাজ। নদীর বুকেই ব্রিজের দুপ্রান্তে বিশাল বিশাল হোর্ডিংয়ের ধাতব খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। নদীর বুকেই গড়ে উঠেছে চারতলা উঁচু অবৈধ স্ট্রাকচার। সেই দূষণে মুখে ঢেকেছে মহানন্দা নদী।  


বিজ্ঞাপনের দূষণে মুখ ঢাকছে নদী। পরিবেশবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধ নির্মাণ। শিলিগুড়ি শহরে মহানন্দার বুকে বিশাল বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং। শিলিগুড়ি পুরসভা নাকি অন্ধকারে! শিলিগুড়ি পুরসভার দাবি, নদীর বুকে অবৈধ নির্মাণের কাজ নিয়ে তারা নাকি কিছুই জানে না। মেয়র পারিষদ বিজ্ঞাপনের দাবি, কাজ বন্ধ করতে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছিল পুরসভার তরফে। তারপরেও কীভাবে সবার চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ চলছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


চর দখলকারীদের হাতে আগেই চলে গেছে মহানন্দা। এবার কি বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ীরাও নদীর দখল নিতে উঠে পড়ে লেগেছে? শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র পারিষদ বিজ্ঞাপন কমল আগরওয়াল। (আরও পড়ুন- সেকেন্ড ইনিংসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টার্গেট বিজেপি)