ওয়েব ডেস্ক: মহাশ্বেতা দেবীর ইচ্ছা ছিল তাঁর অন্ত্যেষ্টি যেন হয় পুরুলিয়ায়। শবর গ্রামে। তা হয়নি। তাঁর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে কলকাতা থেকে চিতভষ্ম নিয়ে এসে তা সমাধিস্থ করা হল পুরুলিয়ায়। আর সেই সমাধিস্থলে পোঁতা হয়েছে মহুয়ার একটি চারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর থেকে বোধহয় ভাল আর কিছুই হত না। কষ্টদীর্ণ রুখসুখা জীবনগুলোকে জুড়োতে আর কেই বা পারে। মহুল। গ্রীষ্মের চড়া গরমই হোক কিম্বা বসন্তের মন্দ বাতাস। মন ভালো করে দেয়, স্বপ্ন দেখায়। যেমন দেখিয়েছিলেন তিনি। তিনি হাজার চুরাশির মা, তিনি শবর জননী। তাঁর স্মৃতিতে মহুল চারা পুঁতে সম্মান জানালেন শবর পুত্রকন্যারা।


আরও পড়ুন মুর্শিদাবাদ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্ঘাত রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী


এও এক অসম লড়াই। লড়াইটা সেই সমাজের সঙ্গে, যে সমাজ তাঁদের সম্মান করা দূরে থাক ন্যূনতম বিশ্বাসটুকুও করত না। মহাশ্বেতা দেবী তাদের মধ্যে পুঁতে দিয়েছিলেন লড়াই করার মন। আর সেই মন নিয়েই কলকাতা থেকে মহাশ্বেতা দেবীর চিতভষ্ম নিয়ে এসে সমাধি তৈরি হল পুরুলিয়ার কেঁদার রাজনোয়াগাড় গ্রামে। সমাধির ওপর পোঁতা হল মহুল চারা। আদতে মহাশ্বেতা দেবীর ইচ্ছে ছিল, তাঁর অন্ত্যেষ্টি যেন হয় পুরুলিয়ায়। হয়নি। হয়েছে বড় শহর কলকাতায়। হার না মানা মন নিয়ে চিতভষ্ম নিয়ে এসেছেন শবর পুত্র কন্যারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা ভূমিপুত্র শান্তিরাম মাহাত জানিয়েছেন, মহাশ্বেতা দেবীর দেখানো পথেই উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।


আরও পড়ুন ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল ও বন দফতর