মাখড়া ও ভাঙড়। দুই জেলার দুটি জায়গা। তবে মৃত্যু মিছিল, খুনোখুনি আর সন্ত্রাসের আবহে ঘুচে গেছে সব মাখড়া আর ভাঙড়ের দূরত্ব। তবে, তফাত্‍ একটা রয়েই গেছে। তিন জন খুন হওয়ার পর সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছে মাখড়া। কিন্তু দু-জনের মৃত্যুর পরও সরকারের নজর পড়েনি ভাঙড়ের বেওতা গ্রামের দিকে।  প্রায় একই ধরনের দুটি ঘটনা। শুধু সময়ের কিছু ব্যবধান।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বীরভূমের মাখড়া গ্রাম। গুলি-বোমার লড়াইয়ে প্রাণ হারান তিন জন। ভাঙড়েও চলেছিল গুলির লড়াই। প্রাণ গেছে দু জনের। রমেশ ঘোষাল, বাপন মণ্ডল। দুটি ঘটনাকে ঘিরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তবে সংবাদ শিরোণামে বেশি উঠে এসেছিল মাখড়া গ্রামের কথাই। জারি হয় একশো চুয়াল্লিশ ধারা । ছুটে গিয়েছিলেন নেতারা। মৃত তিন জনকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ভাঙড়ে? সেখানে কী হল?


কাছাকাছিই বাড়ি ছিল নিহত বাপন মণ্ডল ও রমেশ ঘোষালের। মাঝে শুধু একটি বড় দিঘি। বাপন মানুষ হয়েছিলেন দাদুর কাছে। ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কিছু? প্রশ্নটা যেন অবাকই করল শোকাচ্ছন্ন পরিবারকে। রমেশের বাড়ির অবস্থা আরও ভয়াবহ। গোটা বাড়ি এখন ধ্বংস্তূপ। পুড়ে গিয়েছে রমেশের ঘর। উঠোনে কালীপুজো করেছিলেন। আজও পড়ে রয়েছে প্রতিমা। বিসর্জন আর হয়নি। বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। ভগ্নস্তুপ আগলে বসে রমেশের আশি বছরের বৃদ্ধা মা।
চোখের সামনে দেখেছিলেন ছেলের মৃত্যু।


তিনি কি পেয়েছেন কোনও ক্ষতিপূরণ? সরকার কিছু দেয়নি। কীভাবে সংসার চলবে জানা নেই।