মালদা: ছেলের পায়ে বুলেট বিঁধে গিয়েছে। পড়িমরি করে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু সব ঠিক আছে জানিয়ে বুলেটবিদ্ধ কিশোরকে ফিরিয়ে দেয় সরকারি হাসপাতাল। পরে নার্সিংহোমে এক্সরে করিয়ে জানা যায়, বুলেট সেঁধিয়ে রয়েছে পায়ের ভিতরেই। এমনই নজিরবিহীন চিকিত্‍সা পরিষেবার সাক্ষী রইল মালদা মেডিক্যাল কলেজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার মালদার সাহাপুরে একটি সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায় এই কিশোর। দুষ্কৃতীদের গুলি ছিটকে এসে লাগে তার পায়ে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বাবা-মা। আর সেখানে গিয়েই এক চরম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় ক্লাস এইটের পবন দাস। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার ওই কিশোরকে সুস্থ বলে ছেড়ে দেয়। তাও আবার কোনও পরীক্ষা না করেই।


এরপর পবনের বাবা-মা ছেলেকে নিয়ে একটি নার্সিংহোমে যান। সেখানে এক্সরে করিয়ে দেখা যায়, পায়ের ভিতরেই বিঁধে রয়েছে বুলেট। নার্সিংহোম যেহেতু বুলেট বের করে না, অগত্যা বাবা-মাকে ফের ফিরে আসতে হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বেলা এগারোটায় ভর্তি করা হলেও, দুপুর একটা পর্যন্ত তার কোনও চিকিত্‍সাই হয়নি।


সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের এমন ঔদাসীন্য দেখে পরিবারের লোকজন ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেনি। শেষে পবনকে কলকাতার পিজিতে রেফার করে দেওয়া হয়।  যদিও হাসপাতাল সুপার এতে দোষের কিছুই দেখছেন না। মালদা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ এম এ রশিদ ঘটনার পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।