ব্যুরো: কাল আশ্বস্ত করেছিলেন মোর্চাকে। আজ গোর্খা লিগের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে বিমল গুরুংদের ফের চাপে রেখে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাহাড়ে গিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারের বৈঠকে  মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করতে দেখা গিয়েছিল মোর্চা নেতৃত্বকে। বৃহস্পতিবার  গোর্খা লিগের নেতাদের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে গোর্খা লিগ নেতারা জানিয়ে দেন, গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলে পাহাড়ে তাঁর ভাবমূর্তির ক্ষতি হবে।


অর্থাত্ মদন তামাং হত্যাকাণ্ডে চার্জশিটে নাম থাকা গুরুংদের সঙ্গে এবং তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই গুরুং বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।  মুখ্যমন্ত্রীর এই দুটি বৈঠকই  পাহাড়ের রাজনীতির নিরিখে তাত্পর্যপূর্ণ। কী বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর?


দীর্ঘদিন বিরোধের পর বিমল গুরুংরা যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন, তাতে নিঃসন্দেহে খুশি তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তাঁদের পাশে আসার যে ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী পেলেন, সেটাও তাত্পর্যপূর্ণ। কিন্তু পরে বিমল গুরুংরা বেঁকে বসলে, গোর্খা লিগের সঙ্গে বৈঠক করে পাল্টা দরজা খুলে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই পাহাড়ে তৈরি হয়েছে গুরুং বিরোধী প্রগতিশীল ফ্রন্ট। সেই ফ্রন্টে তৃণমূলকেও যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন প্রতাপ খাতি।


ফলে ভবিষ্যতে ফের যদি পাহাড় অশান্ত করার কোনও কর্মসূচি বিমল গুরুংরা গ্রহণ করেন, তাহলে পাল্টা ফ্রন্টই হবে মুখ্যমন্ত্রীর তুরুপের তাস, তা পাহাড়ে বসেই বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন তৃণমূলনেত্রী।