ওয়েব ডেস্ক: স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে ছেলেধরা গুজব। রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির শিকার দুজন। এবার কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামল প্রশাসন। রাজ্য পুলিসের ডিজির সাফ বার্তা, পরিকল্পিতভাবে রাজ্যে গুজবের নামে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে একদল মানুষ। যারা একাজ করছেন তাদের কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একপাশে নগরপাল, অপরপাশে আইজি আইনশৃঙ্খলা। গুজব নিয়ে কড়া বার্তা ডিজির। কিন্তু কেন? কখনও পলতা, কখনও কালনা, আবার কখনও জিরাট। গত দুতিন দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে গুজব। গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন নিরীহ মানুষ।


আরও পড়ুন বিরাট, ধোনি, অশ্বিনদের নতুন নাম দিলেন শাহরুখ খান


১) শুত্রবার ছেলেধরা গুজব ছড়ায় কালনায়। গণপিটুনি দেওয়া হয় পাঁচজনকে। মারা যান অনিল বিশ্বাস। পরে জানা যায়, গণপিটুনির শিকার পাঁচজনই নিরীহ। আমগাছে ওষুধ দিতে রানাঘাটের হবিবপুর থেকে কালনা এসেছিলেন। গণপিটুনির খবর ছড়াতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হবিবপুর। বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।


২) গুজবের জেরে মৃত্যু পলতাতেও। ছেলেধরা সন্দেহ গণপিটুনি দেওয়া হয় এক ভবঘুরেকে। পুলিস ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শনিবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন জানেন বিগ বসে অংশগ্রহণ করার জন্য কত টাকা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রোহিত রয়কে?


৩) গুজবের হাত থেকে রেহাই পাননি শিক্ষিকা ও তাঁর মেয়েও। হুগলির জিরাটের আসানপুরে মা ও মেয়েকে মারধর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি। স্রেফ ছেলেধরা সন্দেহে। 


কিন্তু, হঠাত্‍ কেন ছড়াচ্ছে গুজব। পিছনে ইন্ধনই বা জোগাচ্ছে কারা? কোন উদ্দেশ্যে? রাজ্য পুলিসের দাবি, গোটাটাই হচ্ছে পরিকল্পনা মাফিক। গুজব ছড়ানো ও অশান্তির দায়ে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এধরণের কার্যকলাপ একে বরদাস্ত করা হবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি।