মাতৃভূমি লোকাল চালুর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লেডিজ স্পেশাল যে লোকসানে চলছে তা কবুল করছে রেল কর্তৃপক্ষও। অফিস টাইমের ব্যস্ত সময়ে লেডিজ স্পেশাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১০ সালে তত্‍কালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেয় চালু হয় মাতৃভূমি লোকাল। কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বনগাঁ, বারাসত, ক্যানিং এবং বারুইপুর। শিয়ালদহ থেকে চালু রয়েছে ছটি মাতৃভূমি লোকাল। হাওড়া-ব্যান্ডেল ও হাওড়া-খড়্গপুর শাখাতেও চলে দুটি ট্রেন। মাতৃভূমি লোকাল ফাঁকা যাচ্ছে বলে গোড়া থেকেই যাত্রীদের অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে, ছটি রেলওয়ে জোনের কাছে রিপোর্ট তলব করে রেল বোর্ড।


লোকসান কমাতে হাওড়া-ব্যান্ডেল ও হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় মাতৃভূমি লোকালের নির্দিষ্ট কামরায় পুরুষ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সোমবার, শিয়ালদহ ডিভিশনের সবকটি লেডিজ স্পেশালে এই নিয়ম চালু করতে গিয়েই বাধল বিপত্তি। পুরুষ ও মহিলা যাত্রীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল খড়দা স্টেশন। পরিস্থিতি আঁচ করে শিয়ালদহ ডিভিশনের মাতৃভূমি লোকালে পুরুষদের উঠতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, ভর্তুকীতে চলা ভারতীয় রেল কি মাতৃভূমি লোকালের মতো প্রায় সত্তর শতাংশ ফাঁকা ট্রেন চালানোর বিলাসিতা দেখাতে পারে?


সম্ভাব্য সব পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে শিয়ালদহ ডিভিশনের সবকটি লেডিজ স্পেশালে একসঙ্গে পুরুষদের ওঠার অনুমতি না দিয়ে ধাপে ধাপে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করাই কি ঠিক হতো না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাতৃভূমি লোকাল নিয়ে ভুলের ওপর ভুল করে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।


জনমোহিনী রাজনীতির কোপে পড়ে ভারতীয় রেলের সর্বনাশের অভিযোগ নতুন নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাতৃভূমি লোকাল তারই একটা উদাহরণ মাত্র।