ওয়েব ডেস্ক : চেনা পাহাড়ে, অচেনা ছবি। আগে যেমন বনধ মানেই ছিল, অচল পাহাড়। বিপর্যস্ত জনজীবন। একরাশ ভোগান্তি। কিন্তু এবার, পরিবর্তন দেখল পাহাড়। এই প্রথম মোর্চার ডাকা বনধেও, পাহাড় রইল স্বাভাবিক। এই প্রথম, বনধ ডেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হল মোর্চাকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুরোপুরি অচল পাহাড়। দোকান বন্ধ। অফিস-কাছারি বন্ধ। এমনকি রাস্তাও জনমানবশূন্য। মোর্চা নেতারা বনধ ডাকলে, এমনটাই হত পাহাড়ের চেহারা। এক-দুদিন না। মোর্চা নেতাদের খেয়ালে টানা সাত-দশদিন পর্যন্তও কার্যত বন্ধ থাকত পাহাড়। চলত ভোগান্তি। বুধবারের বনধের পাহাড় কিন্তু দেখল অন্য ছবি। সরকারি দফতর খোলা। খোলা দোকান-বাজার। বনধ প্রতিরোধে রাস্তায় মানুষ। মিছিল হল। পাহাড় শুনল বনধ বিরোধী স্লোগান। বহুদিন বাদে। বলা ভাল, বহুযুগ বাদে।  অবশ্যই, সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে, প্রশাসনকে রাস্তায় রেখে, তৃণমূল কর্মীদের পথে নামিয়ে মোর্চাদের বনধ বিলাসিতায় এই প্রথম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হল।


সুবাস ঘিসিংয়ের সময় থেকেই বনধকে নিজেদের ক্ষমতা জাহিরের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছেন পাহাড়ের নেতারা। বনধ ডাকা হত ইচ্ছেমতো, যখন-তখন। দিনের পর দিন অচল রাখা হত পাহাড়। আগুন জ্বলত। ক্ষোভে-বিক্ষোভে পুড়ত শৈলশহর। দার্জিলিংয়ে  বনধ ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল পর্যটকদের মধ্যে।  সুবাস ঘিসিংয়ের উত্তরসূরী হিসেবে, একই পথে হেঁটেছেন বিমল গুরুংও। নিজেদের জন্য খাবার মজুত করে, এরপর পাহাড় অচলের ডাক দেওয়া হত। এমনও হয়েছে, দোকানের পিছনের দরজা দিয়ে, কুড়ি টাকার চাল বিক্রি হয়েছে সত্তর টাকায়।


এবারই প্রথম, পাহাড়ে বসেই বনধকে কড়া হাতে মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিস নামিয়ে-কর্মী নামিয়ে পাহাড় সচল রাখলেনও তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে নানা ইস্যুতে বিরোধ তৈরি হয়েছে প্রশাসনের। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার পাহাড়ে গিয়ে, মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছেন। আর বনধের দিন পাহাড়কে কার্যত সচল রেখে, মোর্চার গা-জোয়ারি বনধের রাজনীতিতে,  শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।