ওয়েব ডেস্ক: দু-দুটি খুন। বাড়ির মধ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দুই মেয়েকে খুনের অভিযোগ মায়েরই বিরুদ্ধে। মহম্মদবাজারের এই ঘটনায়, প্রতি পরতে রয়েছে রহস্যের জাল। টানটান সাসপেন্স।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘরের মধ্যেই নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করা হয় দুই বোন সুস্মিতা ও পুষ্পিতা সাধুকে। কিন্তু খুনের মোটিভ কী? কেন ক্লাস নাইন ও ক্লাস সিক্সের দুটি মেয়েকে এভাবে মরতে হল? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তদন্তকারীরা। কাকা-কাকিমা-ঠাকুমা থেকে টিউশন টিচার, বাড়ির কাজের লোক, পাড়া-প্রতিবেশী, দফায় দফায় জেরা করা হয় সবাইকে।


তদন্তে উঠে আসে, মা অপর্ণা সাধুর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ। সেই পথে সূত্রের খোঁজ শুরু করতেই, ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বেড়াল। পুলিস অপর্ণা সাধুকে আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে। তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মহম্মদবাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি আশ্রমে রোজ যেতেন অপর্ণা সাধু। সেখানে খোঁজ মেলে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্রাবণী মাহারার। এরপরই পুলিস আটক করে শ্রাবণী মাহারাকে। জেরায় নাম উঠে আসে চণ্ডীচরণ লাহার। সিউড়ির আলুন্দা গ্রামের বাসিন্দা চণ্ডীচরণ লাহার সঙ্গে অপর্ণা সাধুর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পারে পুলিস।


আশ্রমে যাতায়াত ছিল চণ্ডীচরণের। সেই সূত্রেই আলাপ অপর্ণা সাধুর সঙ্গে। তদন্তে উঠে আসা একের পর এক সূত্র জোড়া লাগাতেই, ছবি অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যায় পুলিসের সামনে। মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে গিয়েছিল বড় মেয়ে সুস্মিতা। বিষয়টি মেনে নেয়নি সে। মা-মেয়েদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত। তবে কি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের পথ প্রশস্ত করতেই, পথের কাঁটা দুই মেয়েকে এভাবে সারা জীবনের মতো সরিয়ে দিলেন অপর্ণা সাধু?