ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে, অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি হচ্ছেই। এর ওপর কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট। জেলাপরিষদ হাতে রাখতে, কংগ্রেসের শেষ স্ট্র্যাটেজিও কাজে এল না। ব্যর্থ হল আইনি পথে প্রতিরোধের চেষ্টা।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এখন তৃণমূল। ভাঙন কংগ্রেসে। হাত বদলেছেন অনেকেই। তবু গড় সামাল দেওয়ার শেষ চেষ্টা হিসেবে, আদালতে পৌছে যায় কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও হাত খালিই রইল। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি রয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবে ত্রুটি রয়েছে, এই অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন জেলা সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার। বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন,  ২৩ সেপ্টেম্বর অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। ভোটাভুটি ওইদিনই হবে।


ধাক্কা অবশ্য আগেই এসেছিল। দল ভাঙিয়ে অধীর গড়ে কিস্তিমাত করেন শুভেন্দু অধিকারী। কংগ্রেসের ৭ ও বামেদের ৩, জেলা পরিষদের মোট ১০ জন সদস্য দল বদলে যোগ দেন তৃণমূল শিবিরে। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। ৭ জন দল ছাড়ায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কমে হয়েছে ১৪। এবং ৩ জন সদস্য খুইয়ে বামেদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭। জেলা পরিষদ সদস্য কমলেশ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনে ভরতপুর থেকে জয়ী হওয়ায় এখন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা এখন ৬৯। নতুন সমীকরণে জেলা পরিষদ দখলের ম্যাজিক ফিগার ৩৫ পেরিয়ে আরও ৪টি বাড়তি আসন রয়েছে তৃণমূলের দখলে।


১৪ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ডিভিশনার কমিশনারের কাছে নোটিসও পৌঁছে যায়। একই দিনে ভোটাভুটির দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেন তিনি। এনিয়ে অবশ্য আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। একই দিনে কীভাবে এটা সম্ভব হল তার ব্যাখা চেয়ে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাঁকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর। ততদিনে অবশ্য মিটে যাবে ভোটাভুটি পর্ব। হাত বদল হয়ে তৃণমূলের পকেটে আনুষ্ঠানিকভাবেই চলে যাবে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ।