ওয়েব ডেস্ক: যাদবপুরের প্রাক্তনী মিতা মণ্ডলকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। খুন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেছে তার শ্বশুরবাড়ি। অভিযোগ করল মৃতার পরিবার। রহস্যমৃত্যুর ইঙ্গিত দিচ্ছে ময়নাতদন্তও। ফুলের মতো সুন্দর। মেধাবী। শান্ত, নম্র। পরিবার, প্রতিবেশি থেকে সহপাঠী। দশমীর ভোরে ফুলেশ্বরের হাসপাতালে সেই আদুরে বোনটারই অন্য চেহারা দেখেন দাদা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বলছে, মিতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মিতার স্বামী রানা মণ্ডল ও শ্বশুর দ্বিজেন্দ্রনাথকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে উলুবেড়িয়া থানা। যদিও, মিতার শ্বশুরবাড়ির অন্য আত্মীয়দের দাবি, এটা আত্মহত্যাই।


পুলিসের কাছে মিতার স্বামী রানাও একই দাবি করেছে। তার দাবি, নবমীর ঠাকুর দেখাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী বচসা হয়। অশান্তির পরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন মিতা। দেহ নামানোর সময় মাথায় আঘাত লাগে বলে দাবি মিতার স্বামীর। যদিও চিকিত্‍সকরা বলছেন দেহ নামানোর সময় এত গভীর আঘাত লাগা সম্ভব নয়।


আরও পড়ুন সচিন-দীপা নিজেরা 'ভুল' করে সবাইকে আবারও শেখালেন, উপহার দেওয়ার নিয়ম


মিতা যদি খুন হন, তাহলে কেন খুন করা হল তাঁকে? উঠে আসছে সেই পুরনো অভিযোগ। তদন্তকারীরাও বলছেন, মিতা খুন হয়েছেন একথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উঠছে একাধিক প্রশ্ন।


১) মৃত্যুর ঠিক আগে মিতার ফোন থেকে স্বামীর ফোনে ১০টি মিসড কল যায়। সেগুলি ধরেননি রানা। কেন?


আরও পড়ুন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী প্রাক্তনীর রহস্যজনক মৃত্যুতে গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুর


২) বাড়ির নাকের ডগায় হাসপাতাল। তবু দেহ উদ্ধারের পাঁচ ঘণ্টা পরে মিতাকে কেন হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তাঁর স্বামী?


খুন না আত্মহত্যা? খুন হলে খুনি কে? বিচার অবশ্যই হবে আদালতে। তবে মিতার রক্তাক্ত দেহ ফের একবার দাঁড় করিয়ে দিল প্রশ্নের মুখোমুখি। দেবীপক্ষে শক্তি আরাধনায় মজে বাঙালি। ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো। আর ঘরের লক্ষ্মীর এরকম রহস্যমৃত্যু।


আরও পড়ুন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য