আসানসোলে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু!
সাত সকালে দোকানের ভিতর পড়ে দোকান মালিকের দেহ! মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছেন স্ত্রী। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে তেতে উঠল আসানসোলের শ্রীপুর এলাকা। ছুটে আসতে হল মেয়র আর পুলিস কমিশনারকে।
ওয়েব ডেস্ক : সাত সকালে দোকানের ভিতর পড়ে দোকান মালিকের দেহ! মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছেন স্ত্রী। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে তেতে উঠল আসানসোলের শ্রীপুর এলাকা। ছুটে আসতে হল মেয়র আর পুলিস কমিশনারকে।
কী হল, সকাল থেকে আওয়াজ নেই কেন?
কিছুটা মজা করেই বন্ধুর খবর নিতে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। স্বামী-স্ত্রী যে দোকানেই ঘুমোন, সেখবর জানতেন তাঁরা। কিন্তু বুধবার দোকানে ঢুকে দেখা গেল খাটের ওপর পড়ে রয়েছে মহম্মদ আবুলের রক্তাক্ত দেহ। মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন স্ত্রী সামিনা খাতুন। তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিস। সঙ্গে কুকুর। চলল জোরদার তল্লাশি। আসানসোলের শ্রীপুরে জাতীয় সড়কের ধারে ব্যবসা করতেন মহম্মদ আবুল। পান বিড়ি সিগারেট আর তেলেভাজার দোকান। আবুলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর চাউর হতেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।পরিস্থিতি গরম হচ্ছে বুঝতে পেরে ঘটনাস্থলে চলে আসেন আসানসোল পুলিস কমিশনারেটের সিপি লক্ষ্মীনারায়ণ মীনা। বিক্ষোভ থামাতে শ্রীপুর মোড়ে পৌছে যান আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
পুলিসের অনুমান, মহম্মদ আবুলকে ভারী ও ধারাল কিছু দিয়ে খুন করা হয়েছে। সামিনার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আবুলের দোকানের সামনে ও পিছনে ২টি দরজা রয়েছে। স্থানীয়রা যখন প্রথম দেখতে পান, পিছনের দরজা খোলা ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী কোনও গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে যাতে জিনিস চুরি না যায়, তা পাহারা দিতেন মহম্মদ আবুল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে এই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আরও পড়ুন, টিভি শো-রুমে যে কাণ্ড ঘটল!