ওয়েব ডেস্ক: ফের তৃণমূলের সরকার হলে তাঁকে মন্ত্রী করবেন। জনসভায় একথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেয় এবার বিধানসভা ভোটে শাসকদলের প্রার্থী তমলুকের  সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পর্বের ভোটে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রাম এক এবং নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লক নিয়ে তৈরি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে কুড়ি শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোটার নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। দু-হাজার সাতের চোদ্দোই মার্চ ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির জমায়েতে পুলিসের গুলিতে চোদ্দো জনের মৃত্যুর পর নন্দীগ্রামে ক্রমশ জমি হারিয়েছে বামেরা। দু-হাজার আটের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের দুটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল। স্টিং-কাণ্ডে সিপিআই বিধায়ক ইলিয়াস মহম্মদ ইস্তফা দেওয়ায় পরের বছর উপ-নির্বাচনে নন্দীগ্রামে জয়ী হন তৃণমূলের ফিরোজা বিবি। গত পঞ্চায়েত ভোটেও নন্দীগ্রামের দুটি পঞ্চায়েত সমিতি যায় ঘাসফুলের দখলে।


২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে সিপিআই প্রার্থীকে সাড়ে তেতাল্লিশ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন ফিরোজা বিবি।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বামেদের পিছনে ফেলে সাড়ে সাতাশি হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।


ফিরোজা বিবি এবার পাঁশকুড়া পশ্চিম কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেয় নন্দীগ্রামে শাসকদলের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। উল্টোদিকে সিপিআইয়ের হয়ে দাঁড়িয়েছেন আবদুল কবীর। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, খাতায়-কলমে বিজেপি প্রার্থী থাকলেও নন্দীগ্রামে বিরোধী জোটের সঙ্গে শাসকদলের দ্বিমুখী লড়াই। তৃণমূল সার্বিক উন্নয়নের দাবি করলেও গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ক্যামেরার সামনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নন্দীগ্রামের মানুষের। জোটের ভরসায় হেভিওয়েট শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার চেষ্টায় সিপিআই প্রার্থী আবদুল কবীর। নন্দীগ্রাম থেকে জিতিয়ে এনে তাঁকে মন্ত্রী করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।ভোটের আগেই আবার নারদ-কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়েছে। এবারের ভোট তাই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ তিনি কীভাবে সামাল দেন তা নিয়ে সাধারণ ভোটার থেকে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল তুঙ্গে।