ওয়েব ডেস্ক: শিবরাত্রির দিনেই অনাদরে বাবা টাটেশ্বর। ছোট ভাই তারকেশ্বরকে নিয়েই যত প্রচার। বাবার মাথায় দুধ ঢালার ধুম। অথচ এই হুগলিতেই থাকেন তারকেশ্বরের বড়দা টাটেশ্বর। তাকে চেনে কয় জনা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকাল থেকেই বাবার মাথায় জল ঢালার ধূম তারকেশ্বরে। হর হর মহাদেব নামে উঠছে ধ্বনি। কেউ বা জোড় হাতে স্বামীর মঙ্গলকামনায়। বাবার মাথায় দুধ, বেলপাতা। মহিলা মহলে জনপ্রিয় বাবা তারকেশ্বর। তারকেশ্বর লোকসমক্ষে আসলেও বড়দা টাটেশ্বর থেকে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেই। পুরাণ মতে হুগলিতেই সাত ভাইয়ের সংসার তারকেশ্বরের। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ তারকেশ্বর। বাকি ছয় ভাইয়ের নাম জানেন না অনেকেই। বড়োভাই টাটেশ্বর, মেজো জটিলেশ্বর, সেজো ষণ্ডেশ্বর, চতুর্থ ভাই জটেশ্বর,  পঞ্চম ভাই কুটিলেশ্বর, ষষ্ঠ ভদ্রেশ্বর, ছোট ভাই তারকেশ্বর।


স্থান মাহাত্ম্যের গুনে বছরভর তারকেশ্বরে পূণ্যার্থীর ঢল। কিন্তু তারকেশ্বর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হুগলিরই পাউনানে বড়দা টাটেশ্বরের অধিষ্ঠান। বড়দা পড়ে থাকেন অনাদরেই। লোকচক্ষুর অন্তরালে।


টাটেশ্বর মন্দির নিয়েও রয়েছে হাজারো লোকশ্রুতি। কথিত আছে, টাটেশ্বর মন্দিরের দরজা বসানো যায়নি। কারণ যতবারই দরজা বসানোর চেষ্টা হয়েছে তা হয় খুলে গেছে, নয়তো ভেঙে পড়েছে।


তারকেশ্বরের বড়দা টাটেশ্বরের স্বপ্নাদেশ পান বর্ধমানের মহারাজা। পাউনান গ্রামের বেত বনের জঙ্গল পরিষ্কার করে উদ্ধার হয় টাটেশ্বর লিঙ্গ। কিন্তু সেই লিঙ্গ বাড়িতে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বেত বোনের জঙ্গল সাফ করে তৈরি হয় টাটেশ্বর মন্দির। সেই থেকেই পাউনানে সমাদৃত বাবা টাটেশ্বর।


শিবরাত্রিতে মেলা বসে। সাতদিন ধরে পূণ্যার্থীর ঢল। এছাড়াও বিপদে পড়লেই এলাকার মানুষের মুশকিল আসান বাবা টাটেশ্বর। মানুষের বিশ্বাস, বাবার মাথার ফুল ছোঁয়ালেই রোগ সারে, দুর হয় সব সঙ্কট। বাসিন্দাদের আক্ষেপ একটাই, সবাই ছোট ভাইকেই চিনল, বড়দা থেকে গেল অনাদরেই।