ওয়েব ডেস্ক : কালনাকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। প্রতি পরতে খুলছে, নয়া রহস্যের পর্দা। পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় সমকামী সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত দীপা ও নাসিমা। মিলেছে, খুনের চেষ্টার স্বীকারোক্তিও। পথের কাঁটা চিরঞ্জিতকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে দিতেই, ছক কষা হয় খুনের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্পর্কের জটিলতা। তীব্র টানাপোড়েন। রেজিস্ট্রি-ডিভোর্স-ফের সামাজিক বিয়ের প্রস্তুতি। আবার, তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পাত্রকেই গলায় কোপ। সিনেমাকেও হার মানায়, কালনার এই সাসপেন্স-ড্রামা। সম্পর্কের এই ত্রিভুজের তিন কোনে, দীপা-নাসিমা ও চিরঞ্জিত। বহুবছর ধরে বন্ধুত্ব দীপা এবং নাসিমার। তবে পাড়াপড়শিদের দাবি, দুজনের মধ্যে অতি ঘনিষ্ঠতা গত তিন-চার বছর ধরে। এরই মধ্যে স্থানীয় যুবক চিরঞ্জিত পালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় দীপার। মাস তিনেক আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়েও করে চিরঞ্জিত-দীপা। তবে বনিবনা হয়নি, দিন পনেরোর মধ্যেই ডিভোর্সের মামলা হয়। অভিযোগ, ডিভোর্সের জন্য দীপাকে চাপ দেয় নাসিমাই।


আরও পড়ুন- সমকামি সম্পর্কের জেরেই খুন হবু স্বামী অনুমান পুলিসের


দীপার বিয়ের পর সে একা হয়ে যাবে, এই ভাবনা থেকেই চিরঞ্জিতকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দীপাকে চাপ দেয় 'বিশেষ বন্ধু' নাসিমা। কিন্তু ডিভোর্সের পরও, ফের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে তত্‍পর হয় চিরঞ্জিত। দুই বাড়ির সম্মতিতেই শেষপর্যন্ত ১৩ই ডিসেম্বর সামাজিক বিয়ের দিন ঠিক হয়। কিন্তু বিয়ের আগেই নেমে এল বিপদ। পুলিসি জেরায় খুনের চেষ্টার কথা স্বীকার করে নিয়েছে দীপা ও নাসিমা। প্রথমে মানতে না চাইলেও, সমকামী সম্পর্কের কথাও পরে পুলিসের সামনে মেনে নিয়েছে তাঁরা।


গোটা ঘটনায় হতবাক তিন পরিবারই। দীপা-নাসিমার সম্পর্কের আঁচ অবশ্য তাঁরা পেয়েছিলেন আগেই। একথা স্পষ্ট নাসিমার মায়ের কথাতেও। জখম চিরঞ্জিতের এখনও চিকিত্‍সা চলছে কালনা হাসপাতালে। তবে এমনও যে হতে পারে, এর ঘোর কাটেনি।