ওয়েব ডেস্ক: চিকিত্‍সকের অভাব। সেকারণে সরকারি চিকিত্‍সকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। এখন অবসরের বয়স পঁয়ষট্টি। বাড়িয়ে তা কত করা হবে, সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। একইসঙ্গে চিকিত্‍সকদের সংখ্যা বাড়াতে পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। এই প্রকল্পে দিল্লির অনুমতি এলে ডাক্তারিতে বাড়বে পাঁচশ আসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। তবে মিলছে না যথেষ্ট সংখ্যক চিকিত‍সক। সেকারণে এবার চিকিতসকের সংখ্যা আরও বাড়ানোর উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন এমন চিকিত্সকরাও এবার সরকারি হাসপালে রোগী দেখতে পারবেন। তারা নিজেদের পছন্দের সময়ে হাসপাতালে আসবেন। সেক্ষেত্রে তাদের বিশেষ ভাতাও দেবে রাজ্য।


এর পাশাপাশি মেডক্যাল কলেজ বাড়িয়েও চিকিত্সকের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে রাজ্য। রাজ্যে আরও পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ করতে চায় রাজ্য। প্রতিটি কলেজে একশটি করে মোট পাঁচশ আসন রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
সাতটি নার্সিং কলেজও করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই নিয়ে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- মালদার কালিয়াচকে ইভটিজারদের হাতে আক্রান্ত ক্লাস টেনের ছাত্রী
 


যে হাসপাতালগুলিতে মেডিক্যাল কলেজ কররা পরিকল্পনা হয়েছে, সেগুলি হল-কোচবিহার , রায়গঞ্জ, রামপুরহাট, পুরুলিয়া এবং ডায়মন্ড হারবার। নার্সিং কলেজ করার পরিকল্পনা আছে, ঘাটাল, বারসত, জঙ্গিপুর, ঝাড়গ্রাম, সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ, বসিরহাট, উলুবেড়িয়ায়। এর পাশাপাশি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ফ্যাকাল্টি এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন নিয়েও এমসিআইকে আর্জি জানাচ্ছে রাজ্য।


এছাড়া সরকারি চিকিত্সকদের কাজের নিরিখে ডিসেম্বরে তাদের দেওয়া হবে স্বাস্থ্য সাথী পুরস্কার। চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করা স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য মেডিক্লেম দেওয়ার কথাও সিদ্ধান্ত হয়েছে।