বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্ত এবার কোনপথে? ধন্দে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতদের জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খোঁজ মিলেছে বেশ কিছু জঙ্গিডেরার। উদ্ধার হয়েছে তথ্যপ্রমাণও। কিন্তু, ধরা যায়নি কোনও জঙ্গি নেতাকেই। তদন্তের পরের ধাপে পৌছতে তাই সূত্র সন্ধানে NIA। তদন্তভার গ্রহণের পর প্রথম দশদিনে যথেষ্টই পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিয়েছে NIA। NSG-কে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের একের পর এক জঙ্গিডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে তথ্যপ্রমাণ ও বিস্ফোরক।  কিন্তু, এরপর কী? ধন্দে জাতীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। কারণ, বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এখনও কোনও জঙ্গিনেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি NIA।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্ধমানের বাবুরবাগের ডেরার হাবিবুর শেখ ও তার স্ত্রী আয়েষার নাগাল পায়নি NIA। অধরা ওই ডেরার বাসিন্দা বিস্ফোরক বাহক কওসর ও তার স্ত্রী জিন্নাতুরও। শিমুলিয়ার অবৈধ মাদ্রাসায় প্রচুর তথ্যপ্রমাণ মিললেও ওই জঙ্গিডেরার মূল মাথা ইউসুফ ও বোহরানের খোঁজ মেলেনি। অধরা ইউসুফের স্ত্রী আয়েষা ও বোহরানের স্ত্রী ফতেমাও। হটুদেওয়ান ডেরার তালেব শেখ ও তার তিন সঙ্গীকে নিয়েও অন্ধকারে তদন্তকারীরা।


মডিউলগুলিকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিত জঙ্গি নেতা আবদুল কালাম ও ফারুক। কুলসোনা গ্রামে তল্লাসি চালিয়েও তাদের খোঁজ মেলেনি। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ডেরায় তল্লাসিতে উদ্ধার হয়েছে তথ্য প্রমাণ। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি হাতকাটা নাসিরুল্লাহর। একই পরিস্থিতি মুকিমনগরেও। অবৈধ মাদ্রাসায় তথ্যপ্রমাণ মিললেও খোঁজ নেই মাদ্রাসা চালক মুফাজ্জল শেখ বা লাদেনের। একইভাবে ঘোড়ামাড়ার অবৈধ মাদ্রাসার তিন পরিচালক আবদুল আজিজ, নকিবুল আমিন মণ্ডল ও ফারুক মাস্টারকে খুঁজছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রকে দেওয়া রিপোর্টে NIA দাবি করেছে, জামাতুল মুজাহিদিনের থেকেও বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের জঙ্গি মডিউলের ব্যাপ্তি। সেখানে পৌছনোর উপায় কী? সেই সূত্রের খোঁজে এখন NIA। কারা হতে পারে সেই সূত্র? NIA বলছে, আন্তর্জাতিক জঙ্গিযোগের নাগাল পেতে হলে ইউসুফ, বোরহান, আবদুল কালাম কিংবা নাসিরুল্লাহর কোনও একজনকে অবিলম্বে খুঁজে বের করা দরকার।


কেন নির্দিষ্টভাবে ওই চারজনকেই চাইছে NIA? তদন্তকারীরা বলছেন, রাজিয়া, আলিয়া, আবুল হাকিম ও হাসেমকে জেরা করে আর নতুন কোনও তথ্য পাওয়ার নেই। রাজ্যে বহু স্লিপিং সেল এখনও সক্রিয় বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। অসমের বরপেটা মডিউলের কয়েকজন সদস্য গ্রেফতার হলেও, মডিউলটি ভেঙে যায়নি। বরং তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে খোঁজ চলছে, ইউসুফ, আবদুল কালাম এবং কওসরের। কারণ এই তিন জঙ্গি নেতারই সরাসরি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্তে অগ্রগতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে বসছেন NIA এর IG সঞ্জীব কুমার সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও পাঠানো হবে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট।