আলিপুরদুয়ার: পুজোর আনন্দে চারদিক এখন ঝলমলে। উত্‍সব মুখরিত গোটা রাজ্য। কিন্তু অন্ধকারে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি গ্রাম। পুজোর আনন্দের শরিক নন গ্রামের বাসিন্দারা। বরং এই চারদিন তাঁদের কাছে দুঃখ-বিষাদময়। কারণ একটাই। তাঁরা প্রত্যেকেই অসুরের বংশধর। তাই মা দুর্গার মুখ দেখাও বারণ।   কলকাতা হোক বা জেলা, সর্বত্রই জনজোয়ার। বাড়িতে থাকতে নারাজ কেউ। সকাল হোক বা রাত, নতুন জামাকাপড় পরে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে নিয়মটা আলাদা মাঝেরডাবরি গ্রামে। আলিপুরদুয়ার জংশন লাগোয়া এই গ্রামে বাস পয়ষট্টিটি অসুর পরিবারের। নিজেদের তাঁরা অসুরের বংশধর বলেই মানেন। গ্রামের বাসিন্দারা প্রত্যেকে স্বেচ্ছা-গৃহবন্দী থাকেন পুজোর ক'টা দিন।  


পূর্বপুরুষদের কথা ও ঐতিহ্যকে এযুগেও জিইয়ে রেখেছেন অসুর সম্প্রদায়ের মানুষরা। তাঁদের বিশ্বাস, অসুরদের পূর্বপুরুষ মহিষাসুরকে ছলনার আশ্রয় নিয়ে হত্যা করেছিল  দুর্গা। তাই দেবী দুর্গার দর্শন তাঁদের জীবনে ক্ষতির বার্তা বয়ে আনবে। সেই ভয়ে পঞ্চমী থেকেই কঠোর নিয়মের ঘেরাটোপে, ঘরের বাইরে আর পা ফেলেন না মাঝেরডাবরির এই মানুষগুলি। ভুলেও দেখেন না মা দুর্গার মুখ....