ওয়েব ডেস্ক : দুই ব্যক্তির একই নাম। একই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট। এই পর্যন্ত সবটাই ঠিক ছিল। সমস্যাও ছিল না কোনও। কিন্তু তারপরই বাধল ঝামলা। তাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বরও নকি এক! এমনই ঘটেনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের হালিশহর ব্রাঞ্চে। ভুক্তভোগী একজন নন। একাধিক! অভিযোগ, সমস্যার কথা জানাতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মিলছে হুমকি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক নামের একাধিক ব্যক্তি হতেই পারে। কিন্তু গোল বাধবে যদি দেখা যায়, এক ব্যাঙ্কে ওই দুজনের অ্যাকাউন্ট নম্বরটাও একই।  ঠিক যা ঘটেছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের  হালিশহর ব্রাঞ্চে।


কেস ১


নাম নিকিতা দাস। আর ইনিও। তবে ঠিকানা আলাদা। প্রথম জন নেতাজি নগরের নিকিতা এবং দ্বিতীয় জন কবিরাজপাড়ার। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে দুজনকেই এক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ টাকা রাখলে, ও তুলে নেন। আবার একজনের জমা করা টাকা, অন্যেরটায় জমা পড়ে যায়। অভিযোগ, বারবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানালেও জট কাটেনি।


সদ্য কলেজে পা রাখা নেতাজি নগরের নিকিতার, কন্যাশ্রীর জন্য আগের আক্যাউন্ট নম্বরটি দেওয়া ছিল। ফলে আপাতত আটকে গিয়েছে তাঁর পুরো টাকাটাই।  সবচেয়ে আশ্চর্যের, শুধু এই দুজনের ক্ষেত্রেই নয়, হালিশহরেরই বাসিন্দা দুই সুভাষ পালের ক্ষেত্রেও গল্প এক।


কেস ২


এক পাড়ার বাসিন্দা দুই সুভাষ পালকেও এক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে। ফের এই ব্রাঞ্চ থেকেই। অভিযোগ জানাতে গেলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।


এখন প্রশ্ন, নাম এক হতে পারে কিন্তু প্রত্যেক গ্রাহকের সই আলাদা। তাহলে কী করে এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হল দুজনকে? নিজেদের ভুল না শুধরে কেন অ্যাকাউন্টগুলি এতদিন চালু রেখেছে ব্যাঙ্ক? এত দুর্ভোগের জন্য ভুক্তভোগীদের কী ক্ষতিপূরণ দেবে ব্যাঙ্ক?


ব্যাঙ্ক ম্যানেজার প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও, পরে সবটাই মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। ঠিক হয়ত সব হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই, যে টাকা এতদিন ধরে এধার ওধার হল, তার দায় কি নেবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ?