ওয়েব ডেস্ক : বাড়ির নাম "পিতা-মাতার আশীর্বাদ"। সম্পত্তির সংঘাতে সেই বাড়িতেই ঘাড়ধাক্কা খেলেন সত্তর বছরের বৃদ্ধা মা। পূর্ব মেদিনীপুরের কামারদা গ্রামের ঘটনা। শেষে চব্বিশ ঘণ্টার খবরে আইনি সাহায্য পেলেন বৃদ্ধা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুই হাঁটুতে আগের মতো জোর নেই। দৃষ্টিও ঝাপসা। বয়স সত্তর পেরিয়েছে। কিন্তু, ক্লান্ত-অশক্ত শরীরকে ফের একবার ঝাঁকানি দিয়ে তৈরি তিনি। এবার লড়াই নিজেরই রক্তের সঙ্গে। ৭০ বছরের বৃদ্ধা যামিনী পণ্ডা। অভিযোগ করলেন, ছেলে বউ খেতে দেয় না। দুই ছেলে। দুই মেয়ে। বড় ছেলে কলকাতায় চিকিত্‍সক। ছোট ছেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়েদের কিছু টাকাপয়সা দিতেই নাকি খাপ্পা ছোটছেলে স্বদেশ। বৃদ্ধাকে তাড়িয়ে দিয়েছে তাঁরই বাড়ি থেকে।


বছরখানেক আগে ছেলে-বউয়ের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়েন। নালিশ করেন মহকুমা শাসকের কাছে। তখন ক্ষমা চেয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ছোটছেলে। বৃদ্ধাও অভিযোগ তুলে নেন। এতে চটে যান মেয়ে-জামাই। মেয়েরাও বিমুখ। স্বামী রাজেন্দ্র নারায়ণ অথর্ব। বৃদ্ধার যাওয়ার জায়গা নেই। গাছতলায় তাঁর বসে থাকার খবর সম্প্রচার হতেই এগিয়ে এসেছে কাঁথি আদালতের আইনি পরিষেবা কমিটি। বৃদ্ধা উকিল পেয়েছেন। আশ্রয় পেয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। অপেক্ষা সুবিচারের।