ওয়েব ডেস্ক: লড়াইয়ে হার আর জিত, এটাই ধ্রুব সত্য। ভোটের লড়াইয়ে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে একজন জিতবেন, আর বাকিরা তাঁর কাছে হারবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু হার সত্যিই মানুষকে অবাক করে। ভাবতে অবাক লাগে আর বিশ্বাস করতে সময় লাগে, 'এনারাও হেরে যেতে পারেন'?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্টে যে ছাত্র 'টপ স্কোর' করে সে যদি আসল পরীক্ষায় গিয়ে ফেল করে, অবাক লাগে, বিশ্বাসই হয় না বাস্তবটাকে।


ভোটের পরীক্ষায় তো হামেসাই এমনটা হয়। ১৯৭৭-এর ভোট। মনে পড়ে? রায়বেরেলি কেন্দ্র থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হার। রাজ্যের ভোটেও তো 'অঘটনে'র নজিরও কম নেই। তখন রাজনীতির একেবারে 'কচি' মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সোমনাথ চট্টপাধ্যায়কে। ২০১১ তেও 'এনারা হারতে পারেন না', এই মিথ ভেঙে ছিল। এবারও তাই।


২০১৬ বাংলার বিধানসভা কেন্দ্রের 'অবাক করে দেওয়া হার'


মন্ত্রী কৃষ্ণেনন্দু নারায়ণ চৌধুরী। মালাদাহের ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হেরে গেলন এই হেভিয়েট।


মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। মালদাহের মানিকচক বিধানসভাকেন্দ্র থেকে হার।


মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আইনমন্ত্রী হারলেন উত্তর ২৪ পরগণার উত্তর দমদম কেন্দ্র থেকে।


নির্ভেদ রায়। তমলুক থেকে হার। পূর্ব মেদিনীপুরে সবকটি আসন তৃণমূলের খাতায়, কেবল খোয়া গেল তমলুক।


কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সুন্দরবনের ঘরের ছেলে। ২০১১ তেও হেরেছিলেন, এবারও হারলেন। পরপর দু'বার জয়ী হলেন তারকা প্রার্থী দেবশ্রী রায়। অবাক হওয়ার বিশেষ কারণ না থাকলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কড়া নজর ছিল প্রান্তিকের এই কেন্দ্রে, বেশির ভাগের প্রত্যাশা ছিল জয় হাসিল করবে বামেরা। তবে ফল ঠিক উল্টো।


আর অবশ্যই বলতে হয়, মদন মিত্রের কথা। নিজেও কনফিডেন্ট ছিলেন, '৫০০০ ভোটে জিতবেন'। হারলেনও প্রায় ৫০০০ ভোটেই। ৫০-৫০ চান্স থাকলেও বাংলায় একমাত্র নজির জেল থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে, জয়ের রেকর্ড গড়া হল না তাঁর।