ওয়েব ডেস্ক: মীমাংসা সভায় মধ্যস্থতা করতে গিয়ে খুন হলেন এক যুবক। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক মূল অভিযুক্ত কিশোর। তার চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণপুরের আমতলায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে দুদল কিশোরের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। সোমবার তা চরম আকার নেয়। 



অভিযোগ, নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এক কিশোরের। অন্যজন তা মেনে নিতে পারেনি। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে গন্ডগোল, মারধর করা হয় এক কিশোরকে। ঘটনা জানাজানি হয়। মীমাংসা সভার ডাক দেন পাড়ার বড়রা। দুপক্ষকে ডেকে এক জায়গায় বসান তাঁরা। সেই মীমাংসা সভায় মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় ছিলেন স্থানীয় যুবক পূর্ণচন্দ্র মাঝি। মীমাংসা সভা শেষ হয়। সেখান থেকেই আমতলা বাজারে নিজের কাঠের দোকানে চলে যান পূর্ণচন্দ্র। 



বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পূর্ণচন্দ্র মাঝি। হঠাতই রাস্তা আটকায় কয়েকজন কিশোর। কেন তিনি মধ্যস্থতা করলেন, তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। এরপরেই পূর্ণচন্দ্র মাঝিকে কুপিয়ে খুন করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত কিশোরের খোঁজে শুরু হয় তল্লাসি। তার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চলে কিশোরের বাবার দোকানেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও বহু অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বছরকয়েক আগে স্কুলে প্রধানশিক্ষক বকাবকি করায় তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কিশোরোর বিরুদ্ধে। সোমবারের ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়ে ওই কিশোর।