ওয়েব ডেস্ক: রুচি পাল্টেছে। কদর হারিয়েছে বাঁকুড়ার পট শিল্প। পট শিল্পীদের পট চিত্র আর বিকোয় না। বাধ্য হয়ে নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পট ছবিকেই ভিক্ষার মাধ্যম করছেন বাঁকুড়ার হিড়বাঁধের পটশিল্পীরা।বাড়ির পুরুষরা ছবি আঁকেন। সেই ছবি-পট হাতে নিয়ে গাঁয়ে ঘরে  ভিক্ষা করেন  ঘরের বউরা। পেট চলে তাতেই।বাঁকুড়ার হিড়বাঁধে শিল্পী শব্দটা  বড় বেমানান। পেটের জন্য যেখানে সুর সাধনা। সেখানে কে আর অবাক হয়ে প্রশ্ন করে -- গুনী -- কী করে এঁকে ফেল এমন অমর চিত্রকথা। অথচ এই বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের একজন, গোটা পৃথিবীকে পরিচিত করেছিলেন পট শিল্পের সঙ্গে। যামিনী রায়ের জেলায় অবহেলিত পটশিল্পীরা বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন ভিক্ষা করতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতাল থেকে উধাও বহিরাগতরা


অথচ  আগে কিন্তু এমনটা ছিল না। হিড়বাঁধ ব্লকের নয়াডিহি গ্রামের পট শিল্পের বাইরে বাজারে চাহিদা ছিল। ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পট কিনে নিয়ে যেতেন। এখন সময় বদলেছে, বদলেছে রুচি। কেউ আর ফিরেও দেখে না। পট শব্দটি এসেছে  সংস্কৃত পট্ট কথটি থেকে যার অর্থ হল বস্ত্র। চলতি কথায় কাপড়ের ওপর চিত্রাবলী। সেই রং-চিত্রে উঠে আসে পুরাণের কথা। পুরাণের কথাতো থাকবেই পট শিল্প যে বেশ প্রাচীন মুকন্দরাম তাঁর কবিকঙ্কণে লিখেছেন পট জীবিকার কথা। বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষসে রয়েছে যমপটের কথা। বাণভট্টের হর্ষচরিতেও রয়েছে যমপট ব্যবসায়ীর কথা। সেই প্রাচীন শিল্প চেতনাকে ধরে রেখে নয়ডিহার পনেরটি চিত্রকর পরিবার এখন ভিক্ষা করে।


আরও পড়ুন  সবে মার্চ, এখন থেকেই জলে টান পড়েছে বাঁকুড়ায়