ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বভারতী পাঠভাবনের ক্লাস থ্রির আবাসিক ছাত্রকে নৃশংস ভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ হস্টেলের আবাসিক ক্লাস ফোরের চার ছাত্রদের বিরুদ্ধে। সব জেনেশুনেও উদাসীন থাকার অভিযোগ উঠেছে হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সবে ক্লাস ফোর। সব সুকুমারমতি বালক। তারওপর আবার বিশ্বভারতীর পাঠভবনের ছাত্র। সারল্যের এই বয়সের ছাত্রদের বিরুদ্ধে উঠেছে নৃশংসতার অভিযোগ। নির্মমতার অভিযোগ। দোষ করে সেই দোষ মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।


আরও পড়ুন লজ্জা শুধু নারীর ভূষণ, পুরুষের ভূষণ তো নির্লজ্জ হওয়া!


আতিফ নিসওয়ানকে তাঁর বাবা ভর্তি করেছিলেন বিশ্বভারতীর পাঠভবনে। রবীন্দ্রভাবনায় তৈরি স্কুলে গড়তে চেয়েছেন ছেলের ভবিষ্যত। আবাসিক স্কুল। ক্লাস থ্রির ছাত্র আতিফ অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গেই স্কুলে হোস্টেলে থাকে। থাকে নয়, থাকত। কারণ আতিফের বাবা-মা আর পাঠভবনের হস্টেলে পাঠাতে চায় না আতিফকে। কারণ, রবীন্দ্রভাবনায় তৈরি পাঠভবনে আতিফকে দিনের পর দিন মারধর করা হয়েছে। মেরেছে তার থেকে মাত্র একবছরের বড় পড়ুয়ারা। আর সে যেমন তেমন মার নয়, কালসিটে পড়ে গেছে। ডাক্তার দেখাতে হয়েছে।


ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভ। পাঠভবনের আবাসিক এই ছাত্রদের দেখার জন্য রয়েছেন অসংখ্য কর্মী। আর সেই কর্মীরাই ক্লাস থ্রির আতিফকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়েছেন। শিশুদের শিক্ষা দেন, শিশু মন বোঝেন এমন শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে থাকা পাঠভবনে এমন নৃশংসতা। তারওপর আবার শিক্ষকদের এমন বিধান। তবু সেই স্কুলেই পড়াতে চান আতিফের অভিভাবক।


কিন্তু সেখানেও বাধা। বর্তমান উপাচার্য স্বপন দত্তের সঙ্গে দেখা করেও মেলেনি সুরাহা। আতঙ্কে ছোট্ট আতিফ। আতিফের ভবিষ্যত নিয়ে আতঙ্কিত তার অভিভাবকরা। এবং যথারীতি মুখ খোলেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন শিলিগুড়িতে বিস্ফোরক উদ্ধারের তদন্তে নয়া মোড়