ওয়েব ডেস্ক: পুলিসকে বাঁশপেটা করল জনতা। প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাল পুলিস। জালিয়ে দেওয়া হল বাস। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ফরাক্কার NTPC মোড়। জনতার মারে মাথা ফাটল পুলিস অফিসারের। রেহাই পাননি পুলিসকর্তারাও। অবাধে চলল ভাঙচুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রাণ ভয়ে ছুটছে পুলিস। পিছনে তাড়া করে বাঁশ হাতে ধেয়ে আসছে উন্মত্ত জনতা।
ফরাক্কায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে NTPC মোড়।  সকালে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ক্লাস ইলেভেনের এক ছাত্রীর। প্রতিবাদে NTPC মোড় অবরোধ করেন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষেপে ওঠে জনতা। লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন কয়েকশো মানুষ। একের পর এক বাস, লরি, গাড়িতে চলে হামলা।


 


রে রে করে তেড়ে আসছে জনতা। দিশেহারা পুলিস তখন প্রাণভয়ে পালাচ্ছে। বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ফরাক্কা থানা IC এবং জঙ্গিপুরের SDPO. কিন্তু জনরোষের হাত থেকে রেহাই পাননি পুলিসকর্তারাও। জনতার মারে মাথা ফাটে ফরাক্কা থানার সেকেন্ড অফিসারের। জখম IC এবং SDPO. নামানো হয় CISF. কিন্তু জনরোষের মুখে তারাও এলাকা ছাড়ে। এরপরই সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা।



ফরাক্কার NTPC মোড়ে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ বেহাল দশা। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিনের হয়রানির জেরেই শনিবার এই জনরোষের বিস্ফোরণ। পুলিসের মার খাওয়া এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আউশগ্রাম, ভাঙ়ড, রসপুঞ্জের পর এবার ফরাক্কা। রক্ষক কেন বার বার এত অসহায় হবে? প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই।