ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচনে প্রাথী হন যাঁরা, তাঁদের  সম্পর্কে সাধারণ ধারনা হল, তাঁদের অনেক অনেক টাকা আছে।  আর একবার যদি নির্বাচনে তিনি জিতে যান, তাহলে তো আর কথাই নেই। পরের ৫ বছরে তিনি নিশ্চয়ই নিজের সম্পত্তির পরিমাণ বেশ কয়েক গুন বাড়িয়ে নেবেন।
কখনও উল্টো কিছুও ঘটে।


এই তো বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রে।  সেখানে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন ষষ্ঠীচরণ মাল। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের মধ্যেই কোটিপতির সংখ্যা সবথেকে বেশি। কিন্তু তিনি ব্যাতিক্রম ষষ্ঠীচরণ মাল।  কারণ? তিনি বড় গরিব।  তবু মানুষের সেবায় খামতি নেই। ব্যাঙ্কে কানাকড়িও নেই। এরকম গোল গোল না বলে, আসলটাই বলা যাক।  ব্যাঙ্কে টাকা আছে। দু হাজার আটশো তিন টাকা।  আর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৫১৪ টাকা! কৃষি জমিও নেই।  থাকার জন্য রয়েছে কাঁচা ঘর।  সম্বল বলতে দুটো গাই গরু।  ওই গরুর দুধ বেচেই স্বামী-স্ত্রীর সংসার চলে। বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত টানা ৬ বার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছে আরএসপি। ২০০৬-তেও জেতে আরএসপি কিন্তু ২০১১ তে বাম দূর্গের পতন হয় বড়ঞাতে। গত লোকসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে লিড ছিল অধীর চৌধুরির। এবার এই কেন্দ্রে জোট হয়নি। দেখার ষষ্ঠীচরণ মাল তাঁর গরিব হওয়ার ইউএসপি দিয়ে জিততে পারেন কিনা।