ওয়েব ডেস্ক : ভাঙড়ে সাব-স্টেশন কাজ শুরু করলে বদলে যেত দক্ষিণবঙ্গে বিদ্যুত সরবরাহের চিত্র। বিদ্যুত চাহিদা বাড়লেও ভবিষ্যতে লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা কমত। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশনাল গ্রিডে বাড়তি বিদ্যুত বেচে রাজ্যের কোষাগারে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা ঢোকার সম্ভাবনাও ছিল। জমি আন্দোলনের জেরে এ সবই এখন বিশ বাঁও জলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৮-এ কথা শুরু। ২০১৩-এ ভাঙড়ে সাব স্টেশন তৈরির জন্য ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের হাতে জমি তুলে দেওয়া হয়। ভাঙড়ে ২টি সাব-স্টেশন তৈরি করেছে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। খরচ প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। অধিগ্রহণ করা হয় ১৩ একর জমি। সাব-স্টেশন দুটি কাজ শুরু করলে রাজ্যে বিদ্যুত সরবরাহের ক্ষমতা বাড়বে ৩০০০ মেগাওয়াট। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় বিদ্যুত সরবরাহের ক্ষমতা বাড়বে ১০০০ মেগাওয়াট। মুর্শিদাবাদ এবং সংশ্লিষ্ট দক্ষিণবঙ্গে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহের ক্ষমতা বাড়বে।


আরও পড়ুন- অশান্তির মাঝেও মুখ্যমন্ত্রীর ওপরই আস্থা ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের


ফরাক্কা, গোকর্ণ, জিরাট এবং সুভাষগ্রামের সাব-স্টেশনগুলির সঙ্গে ভাঙড়ের ২টি সাব-স্টেশনে বিদ্যুতের আদানপ্রদান হওয়ার কথা। গত বছর রাজ্যে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৭৫০০ মেগাওয়াট। ২০১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ানোর কথা ১২০০০ মেগাওয়াট। ভাঙড়ে সাব-স্টেশন কাজ শুরু করলে এই বাড়তি চাহিদা সামাল দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে লোডশেডিং, লো-ভোল্টেজের সমস্যাও কমার আশা। ভাঙড়ে বিদ্যুত্‍ আসার কথা পুর্ণিয়া থেকে, যা ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডের অন্তর্গত। ডায়নামিক প্রাইসিংয়ে কম দামে সরাসরি ন্যাশনাল গ্রিড থেকে বিদ্যুত্‍ কেনার সুযোগ রয়েছে। গ্রিডে চাহিদা বেশি থাকলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুত্‍ বেশি দামে বেচার সুযোগও রয়েছে। এই কেনা-বেচায় রাজ্যের ঘরে মাসে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আসার সম্ভাবনা।


ভাঙড়ে সাব-স্টেশনের কাজ শেষ। বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন টানার কাজ চলছিল। জমি আন্দোলনের জেরে পাওয়ার গ্রিডের কাজ হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। তাই সব সম্ভাবনাই আপাতত বিশ বাঁও জলে।