নাকের ডগায় জঙ্গি ডেরা, শাকিল থেকে সুভান, উঠছে অনেক প্রশ্ন
খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ, সবার চোখ খুলে দিয়েছে। বর্ধমানের মতো আপাতনিরীহ জায়গায় জেহাদি জঙ্গিদের ডেরা, টেলরিং শপের আড়ালে গ্রেনেড তৈরি, আন্তর্জাতিক জঙ্গি যোগ, সব মিলিয়ে মারণযজ্ঞের ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল বোরখাঘর। পুলিস-প্রশাসন কেন কিছুই টের পেল না, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
ওয়েব ডেস্ক: খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ, সবার চোখ খুলে দিয়েছে। বর্ধমানের মতো আপাতনিরীহ জায়গায় জেহাদি জঙ্গিদের ডেরা, টেলরিং শপের আড়ালে গ্রেনেড তৈরি, আন্তর্জাতিক জঙ্গি যোগ, সব মিলিয়ে মারণযজ্ঞের ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল বোরখাঘর। পুলিস-প্রশাসন কেন কিছুই টের পেল না, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
জনারণ্য হল আসলে এক ধরনের নির্জনতা। সন্ত্রাসের ফণা বারবার উঠে আসে সেই নির্জনতা থেকে। বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ড আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিল। মারণযজ্ঞের ডেরা তৈরিতে আপাতনিরীহ এলাকাই যে জঙ্গিদের প্রথম পছন্দ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বোরখাঘর। নিখুঁত পরিকল্পনা করে সাজানো হয়েছিল সন্ত্রাসের ইন্দ্রপ্রস্থ। যেখানে সেলাই মেসিনের আড়ালে চাপা পড়ে যেত গ্রেনেড, আইইডি তৈরির ঠুকঠাক আওয়াজ।
সাবধানতায় কোনও খামতি রাখেননি রাজিয়া, আমিনারা। এখন প্রশ্ন, খাগড়াগড়ের বাড়িতে যখন এত কাণ্ড ঘটছে, তখন
প্রশ্ন ১. কয়েকজন অচেনা লোক বাড়ি ভাড়া নিল। অথচ পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসন সে সম্পর্কে কিছুই জানল না?
প্রশ্ন ২. বাড়ির মালিক ভাড়া দেওয়ার সময় শাকিল, হাকিমদের কাছে তাঁদের ন্যূনতম পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য নিলেন না কেন?
প্রশ্ন ৩ . সিমি ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের স্লিপার সেল যে বর্ধমানে কাজ করছে, ডিআইবির কাছে কি সেই তথ্য ছিল?
প্রশ্ন ৪ . যদি থেকে থাকে, তাহলে ডিআইবি তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল?
প্রশ্ন ৫. ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার আইইডি ও গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় না করে তড়িঘড়ি ধ্বংস করা হল কেন?
ডিআইবি - ডেডিকেটেড ইন্টেলিজেন্স উইং। তারা কেন জানল না। জেলা পুলিসের এই অংশ। একজন ডিএসপির নেতৃত্বে রয়েছে। পলিটিক্যাল অ্যাক্টিবিটিসের ওপর নজর রাখতে গিয়ে এই সিরিযাস ইস্যুতে ল্যাক রয়েছে।
এই বাড়িতে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় ছিল বলেই কি পুলিস রিল্যাক্সড ছিল। পার্টি অফিস কী শিল্জড হয়ে গিয়েছিল?