ওয়েব ডেস্ক: গো-বলয়ের খাপ পঞ্চায়েত, আর এরাজ্যের সালিশি সভা। বিভিন্ন ঘটনায় বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে দুটোই। তেহট্টে মূক-বধির তরুণীর মর্মান্তিক পরিণতির পিছনেও উঠে আসছে সালিশি নিদান। প্রশ্ন পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ জুলাই ২০১৬। অভিযোগ ওই দিনই মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণ করে সুধীর বিশ্বাস। পাঁচই জুলাই ঘটনা ঘটল। কিন্তু থানায় অভিযোগ দায়ের হল বারোই জুলাই। মাঝে সাতদিনের ব্যবধান! কেন? অভিযোগ, সালিশি সভার নিদানেই এই বিলম্ব।


গ্রামবাসীরা বলছেন, সুধীর জানিয়েছিল ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে সাতদিন সময় লাগবে তার। সালিশি সভা সেই প্রস্তাব মেনেও নেয়। কিন্তু অভিযুক্ত সুধীর বিশ্বাস ক্ষতিপূরণ তো দেয়ইনি। উল্টে বাড়ি ছেড়ে পালায় সে। আর মূক-বধির তরুণী? তার পরিচয় এখন মৃত।


আরও পড়ুন- কালনায় ঘুমন্ত মহিলার মুখ অ্যাসিডে পুড়িয়ে দিল ৪ দুষ্কৃতী


ধর্ষণের মতো ঘটনার তদন্তে যেখানে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে সালিশি সভা কোন ক্ষমতার জোরে এতবড় সিদ্ধান্ত নিল? মূক-বধির তরুণীর ভবিষ্যতের কথা সালিশি সভার মুরুব্বিরা একবারও ভেবে দেখলেন না! কোন যুক্তিতে ৪০ হাজার টাকা আর তিন কাঠা জমির নিক্তিতে ধার্য হল তরুণীর সম্মান? সালিশি সভার মুরুব্বিদের কাছে এই সব প্রশ্নের উত্তর আছে কি?
প্রশ্ন উঠছে তদন্তে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।


আরও পড়ুন- ফের রাজ্যে একাধিক অ্যাসিড হামলা