ব্যুরো: রঘুনাথপুরের বিদ্যুত্ প্রকল্প NTPC-কে বিক্রি করে দিচ্ছে DVC।  প্রকল্প বিক্রির খসড়া প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে ডিভিসির পরিচালন সমিতির বৈঠকে।  বিধানসভায় এসে বিদ্যুতমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছেন ডিভিসি চেয়ারম্যান। পরে নব্বান্নে মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানান তিনি।কখনও জমি হারাদের বাজার দরে ক্ষতিপূরণ, চাকরির দাবিতে -বিক্ষোভ। কখনও  জলের লাইন থেকে রেল লাইন তৈরিতে বাধা। শুরুর দিন থেকে রঘুনাথপুরে বিদ্যুত্ প্রকল্প তৈরি বাধার মুখে পড়েছে DVC।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রস্তাবিত প্রকল্প। মোট ২৫২০ মেগাওয়াটের প্রকল্প তৈরির কথা।


প্রথম পর্যায়ের দুটি ৬০০ মেগাওয়াটের ইউনিট তৈরির কাজ শেষ। এ পর্যায়ে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৮০০০ কোটি।


এ পর্যায়ে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৮০০০ কোটি।  যদিও নানা কারণে আটকে গিয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের  ৬৬০ মেগাওয়াটের ২টি ইউনিট  তৈরির  কাজ।  দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা। জল নেই, কয়লার জোগান নেই। কাজ শুরুর আগেই মুখথুবড়ে পড়ে DVC-র রঘুনাথপুরের প্রকল্প।


সমস্যায় ডিভিসি। উত্পাদন শুরু হয়নি। ফলে বিদ্যুত বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না। এ অবস্থায় ডিভিসির নিজস্ব ভাঁড়ার থেকে প্রকল্প তৈরির টাকা আসতে পারে।


 টাকা আসবে কোথা থেকে?


কিন্তু ডিভিসির আর্থিক হালও এখন ভাল নয়


 বিদ্যুত্ বিল বাবদ এ মুহূর্তে ১০ হাজার কোটি টাকা পাওনা ডিভিসির। এরমধ্যে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাওনা ঝাড়খণ্ড সরকারের  থেকে। বেহাল ভাঁড়ার। এর পরেই এনটিপিসি কর্তারা ঘুরে দেখেন রঘুনাথপুরের প্রকল্পটি। আগ্রহ দেখান প্রকল্পটি কেনার


গত জুনে ডিভিসির পরিচালন সমিতির বৈঠকে প্রকল্প বিক্রির খসড়া প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, জুলাইতে  ডিভিসির পরিচালন সমিতির বৈঠকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সম্মতি দেওয়া হবে। একই ভাবে এনটিপিসির বোর্ডও প্রকল্প কেনার বিষয়ে সম্মতি জানাবে।


বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিদ্যুত্ মন্ত্রী মনীষ গুপ্তর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান এনটিপিসির চেয়ারম্যান অরূপ রায় চৌধুরী। পরে এ নিয়ে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান তিনি।


এই পরিস্থিতিতে  রঘুনাথ পুরে ডিভিসির কর্মী-আধিকারিকদের যৌছ মঞ্চ শুক্রবার থেকে প্রকল্পের সামনে বিক্ষোভ শুরু করছেন।