ওয়েব ডেস্ক : ভোটপ্রচারে এবার সিপিএমের হয়ে ভোট চাইলেন রাহুল গান্ধী। হাওড়ার শ্যামপুরের পর উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট। দুটি কেন্দ্রেই কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমকেও ভোট দিতে আহ্বান জানালেন কংগ্রেস সহ সভাপতি। জোট ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান, বিনামূল্যে চিকিত্‍সা, বিনামূল্যে শিক্ষা মিলবে বলে বসিরহাটের জনসভায় আশ্বাস দিলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংশয় ছিল। বড়দের বারণও ছিল। কিন্তু, সংশয় কাটিয়ে জোট গড়তে মাকে বোঝানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। শনিবার প্রথমে শ্যামপুর তারপর বসিরহাটের সভায় দাঁড়িয়ে সেই জোটের পক্ষেই জোর সওয়াল করলেন রাহুল গান্ধী।


এই নিয়ে তৃতীয় দফায় রাজ্যে আসা। ২৬ এপ্রিল ফের নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন সোনিয়া গান্ধী। ৩০-এর মধ্যে ফের একবার আসবেন রাহুল গান্ধী। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হচ্ছেন  মা ও ছেলে, দুজনেই। সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত বললেন না, পোস্তার ফ্লাইওভারের মতো সরকারও ভেঙে যাবে বলে দাবি করলেন রাহুল গান্ধীর।


মোদীর-সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা, ক্ষমতায় আসলে সরকার কী করবে তার প্রতিশ্রুতি। এসব তো আছেই। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে জোট নিয়ে রাহুলের বার্তা। বসিরহাটের মঞ্চে ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল প্রশ্ন করেন, ভোটের পরিস্থিতি কী? ঋতব্রতের জবাব ছিল অপ্রত্যাশিত ফল আশা করছেন তাঁরা। মানুষ খুব ভালভাবে জোটকে নিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ফল কেমন হবে? রাহুলের এই প্রশ্নের জবাবে ঋতব্রত জানান মানুষ ভোট দিতে পারলে সরকার উল্টে যাবে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়েও রাহুলের প্রশ্নের জবাব দেন ঋতব্রত। বলেন বেশ কয়েকজন বামকর্মীর খুনের খবর। এরপরেই পাশে দাঁড়ানো অধীর চৌধুরীকে রাহুল বলেন, যেখানে কংগ্রেস কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই পরিবারগুলির পাশেও থাকতে হবে।


বসিরহাটে রাহুলের সভা  মোড়া ছিল লাল আর তেরঙ্গা পতাকায়। একসঙ্গে মিছিল করে এসেছেন এলাকায় কংগ্রেস এবং বাম সমর্থকরা। কাঠফাটা রোদে মাথার ওপর চড়া রোদ নিয়েও জোট নিয়ে যখন মুখ খুলেছেন রাহুল, মাঠে হাততালির ঢল নেমেছে। হাততালি পড়েছে সারদা-নারদার প্রসঙ্গ রাহুলের মুখে শুনতেও। এতগুলো সভা করার পর কংগ্রেসের সহ সভাপতিও এখন বুঝে গিয়েছেন শ্রোতারা কী শুনতে চান। আর তাই, নিজের খোলস ছেড়ে এতটা আক্রমণাত্মক রাহুল গান্ধী।