নদী ভাঙনের জেরে দিশাহারা আলিপুরদুয়ারের কালঝোড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ। প্রতিবছরই বর্ষায় কুলকুলি নদীর ভাঙনে প্লাবিত হয় গোটা গ্রাম। নদীবক্ষে তলিয়ে যায় বসত বাড়ি, চাষের জমি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও, এসডিও, ডিএম, বিধায়ক এমনকি সাংসদের নজরে এনেও তাঁদের সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।ভিও১- কুমারগ্রাম ব্লকের কালঝোড়া গ্রাম। তপশীলি জাতি ও উপজাতি তালিকাভুক্ত  গ্রামের পঞ্চাশ, ষাটটি পরিবার কৃষিকাজ ও দিনমজুরী করে দিন গুজরান করে। নদী ভাঙনে অনেকেরই বসতবাড়ি চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। যে টুকু চাষের জমি ছিল, তাও কেড়ে নিয়েছে কুলকুলি। নতুন করে ঘর তৈরি করার আর্থিক সামর্থ নেই। তাই খোলা আকাশের নিচে বা প্রতিবেশীর বাড়ির উঠোনই এখন তাঁদের আশ্রয়। গ্রামের কাঁচা রাস্তারও বেশিরভাগই তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা এখনই স্থায়ী নদী বাঁধ তৈরি না করলে ভাঙনের জেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে পুরো গ্রামটাই।


গ্রামবাসীরা জানান, স্থায়ী বাঁধ তৈরির জন্য কুমারগ্রাম ব্লকের বিডিওর কাছে আবেদন জানান তাঁরা। আবেদনের অনুলিপি পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছেও। তার পর প্রায় এক বছর কেটে গেলেও, সমস্যার সমাধান তো দূর, এলাকা পরিদর্শনে পর্যন্ত আসেননি কোন সরকারি আধিকারিক। কুমারগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান নির্মল বর্মণের সঙ্গে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগামী আর্থিক বছরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তবে তাঁর কথায় ভরসা রাখতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।