ওয়েব ডেস্ক: কুলতলিতে রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য। রাত জাগছেন কুলতলির কিশোরীমোহনপুরের বাসিন্দারা। জেনারেটর দিয়ে আলোয় আলো গোটা গ্রাম। বড় বড় খাঁচা, ছাগল, এলাহি আয়োজন। তবে যার জন্য এত ব্যবস্থা, তার কিন্তু দেখা নেই।
 
বিভিন্ন উপায়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন । তারই ভয়ে থরহরিকম্প কুলতলির কিশোরীমোহনপুর। দরজায় খিল এঁটে ঘরেই সেঁধিয়েছেন হালদারপাড়া, বাউরপাড়ার মানুষ। অথচ তার দেখা নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজমলমারি জঙ্গল থেকে ঠাকুরাণ নদী সাঁতরে লোকালয়ে আনাগোনা চলছিল দিব্যি। বিস্তর খোঁজাখুঁজিও চালাচ্ছিল বন দফতর। কিন্তু, দেখা দেননি সুন্দরবনের রাজা। অবশেষে সোমবার দেখা মিলল। ঠাকুরাণ নদীর চর বরাবর ঝোপঝাড়ের মধ্যে দেখা যায়, শিকার ধরার জন্য দৌড়চ্ছে বাঘ। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ন বনকর্মীরা।  ছুটে আসেন বনকর্তা, পুলিস, পঞ্চায়েত প্রধান সক্কলে।


আরও পড়ুন- ব্যবসায়ীকে খুনের প্রতিবাদে শাসনে টাকি রোড অবরোধ


বাঘকে বাগে আনতে গ্রামের দিক থেকে জাল দিয়ে তিনদিক ঘিরে রাখা হয়। নদীর দিক খুলে রাখা হয়, যাতে জঙ্গলে পালিয়ে যেতে পারে বাঘ। ঝোপের দুটি পয়েন্টে পাতা হয় লোহার খাঁচা । টোপ হিসেবে দেওয়া হয় ছাগল। জেনারেটর দিয়ে গোটা গ্রামে আলোর ব্যবস্থাও করা হয়। নদীতেও চলে নজরদারি।


আরও দেখুন- একই পরিবারের ৩ জনকে খুনে ৩ জনকে মৃ্ত্যুদণ্ডের সাজা


আয়োজনের ত্রুটি নেই। আতঙ্কের মধ্যেও গ্রামে রীতিমত হইচই। তবে একবার দেখা দিয়েই ফের উধাও রয়্যাল বেঙ্গল। বনের রাজা কী এত সহজে বশ মানে?