ওয়েব ডেস্ক: পুজোয় ঢাক-ঢোল, কাসরঘণ্টা, বাজির শব্দে রাতের ঘুম নষ্ট। এতেই রাগ সপ্তমে। পাড়া-পড়শিদের লক্ষ্য করে গুলি চালালেন এগরার এসডিপিও মনোরঞ্জন ঘোষ। ২বার শূন্যে। অভিযোগ, বাকি ৩বার সরাসরি তাক করে। একজনের পায়ে গুলিও লাগে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েই আপাতত দায় সেরেছে জেলা প্রশাসন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কালীপুজো, মনসাপুজো, পাশাপাশিই। রাতে দুমদাম ফাটছিল আতসবাজি, পটকা। ঠিক পাশেই এগরার এসডিপিওর বাংলো। রাত যত বাড়ছিল, ততই চড়ছিল তাঁর রাগ। ঘুমের ব্যাঘাত সহ্য হয়নি। অভিযোগ, রাতেই পুজো মণ্ডপে গিয়ে তা বন্ধের নির্দেশ দেন এসডিপিও মনোরঞ্জন ঘোষ। প্রথমে অশ্রাব্য গালিগালাজ, এরপর পুজো মণ্ডপের জিনিসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁদের মারধরও করেন এসডিপিও।


রাতে তখনকার মতো হম্বিতম্বি করে ফিরে যান মনোরঞ্জন ঘোষ। সকালে এসডিপিও-র বাংলোর পাশেই, মহকুমা শাসকের বাংলোয় এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এসডিপিও। বাংলো থেকে এসডিপিও যখন বের হন, তাঁর হাতে পিস্তল। মুখে কোনও কথা নেই, সোজা গুলি চালাতে শুরু করে দেন তিনি। অভিযোগ, মোট ৫ রাউন্ড গুলি চলে। যার মধ্যে ২ রাউন্ড শূন্যে গুলি চালান এসডিপিও। ৩ রাউন্ড গুলি চালান সামনে মানুষজনের পা লক্ষ্য করে। এক নিরীহ পথচারীর পায়ে গুলি লাগে। তাঁকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হুড়োহুড়িতে পালাতে গিয়ে আহত হন কয়েক জন।  



এত বড় কাণ্ড, ক্ষোভ চরমে। আপাতত অবশ্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েই ক্ষান্ত প্রশাসন। তদন্তের নির্দেশেই দায় শেষ! ঘটনার প্রতিবাদে দীঘা-এগরা রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভ বাড়ছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তাঁদের প্রশ্ন, এমন কী মারাত্মক কাণ্ড হল যে গুলি চালাতে হল এসডিপিও-কে? সামান্য কারণে এভাবে গুলি, এ কোন নিয়মকানুনে লেখা! অভিযুক্ত এসডিপিও-কে এখনই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব এলাকাবাসী। দাবি উঠেছে, কড়া শাস্তির।