ওয়েব ডেস্ক: দুবরাজপুরে এসআই খুনের মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়।  চার্জশিট থেকে অভিযুক্ত ৩৬ জনের নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানালেন সরকারি আইনজীবী। মঙ্গলবার সিউড়ি আদালতে এই আর্জি জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সিপিএমের দাবি, শাসকদলের নেতা,কর্মীদের ছাড় দিতেই এই পদক্ষেপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুবরাজপুরে এসআই খুন কাণ্ডে আদালতে দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত  ছত্রিশ জনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আর্জিতে সরব হলেন সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গাঙ্গুলি। সরকারি আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ নেই। বিরোধীদের দাবি  শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা, কর্মীরা এই ঘটনায় অভিযুক্ত বলেই সরকারের এই সক্রিয়তা।


৫ জুলাই, ২০১৪-মামলার কেস স্টাডি


দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় খুন হন এসআই অমিত চক্রবর্তী।
সিউড়ি আদালতে মামলা রুজু করেন নিহত এসআইয়ের পরিবার।
মোট ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু  করে পুলিস।
তদন্ত চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। জুভেনাইল কোর্টে এক নাবালকের বিচার হয়।
বাকি ৪৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিস চার্জশিট পেশ করে।
এদের মধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার হয়।
মূল অভিযুক্ত দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূল নেতা শেখ আলিম সহ বাকি ৩৪ জন এখনও অধরা।
৪৮ জনের মধ্যে ৩৬ জনের বিরুদ্ধেই  মামলা প্রত্যাহার করার আর্জি সরকারের।


সরকারি আইনজীবীর  যুক্তি, অভিযুক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরীহ গ্রামবাসী। তাই মামলা প্রত্যাহারের আর্জি। সরকারি আইনজীবীর যুক্তি মানলে স্বাভাবিক ভাবেই  পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।


কীসের ভিত্তিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিস?
কোনও তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই 'নিরীহদের' বিরুদ্ধে কীভাবেই বা পুলিস চার্জশিট জমা দিল?


নাকি বিরোধীদের অভিযোগই আসলে সঠিক? সহকর্মীর মৃত্যুতে পুলিস আসলে সঠিক তদন্তই করেছে। কিন্তু পুলিসের সেই তদন্তে ফেঁসে যাওয়া শাসকদলের নেতা,কর্মীদের বাঁচাতেই সরকারের এই ভূমিকা? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।