ওয়েব ডেস্ক: মর্মান্তিক, নারকীয়। যাই বলা হোক কম বলা হবে। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায় অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার তরুণী। লাগাতার ধর্ষণের শিকার। অভিযোগ, এরপরই তাঁকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়। উঠে আসছে নারী পাচার চক্রের হাত থাকার সন্দেহ।   
হাকিমপাড়ার এই এটিএম কাউন্টারের সামনেই ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা পড়েছিলেন অর্ধনগ্ন অবস্থায়। অগ্নিদগ্ধ।  বাইশ বছরের এক তরুণী।   যন্ত্রণায় ছটফট করলেও ফিরে তাকায়নি কেউ।  
শেষপর্ন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ফোন যাওয়ার পর, তারা এসে উদ্ধার করে  তরুণীকে। তখন তাঁর প্রায় অর্ধমৃত অবস্থা।   
কোনওমতে  জানিয়েছেন, দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার তিনি। একাধিক যুবক  শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছে।
ওই যুবকরাই তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই অবস্থায় তাকে ফেলে দিয়ে যায় তারা।   
কিন্তু তরুণীটি  কে? কীভাবে  ওই যুবকদের খপ্পরে পড়লেন? এখনও জবাব নেই এ সমস্ত প্রশ্নের। তবে কি নিগৃহীতা কি কোনও পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন?
পালানোর চেষ্টা করাতেই কি পাচারকারীদের নারকীয় অত্যাচারের শিকার ? নির্যাতিতা  নিজেই উস্কে দিয়েছেন এই প্রশ্নগুলি।
ডাক্তারদের অনুমান,অন্তত আট-দশ দিন আগে তরুণীর গায়ে আগুন দেওয়া হয়। তারও অনেক আগে থেকে চলছিল নির্যাতন।
হাসপাতালেও অবশ্য এক দফা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। নাম-পরিচয় অজানা। অভিযোগ, প্রথমটায় একারণে ভর্তি নিতে নিমরাজি ছিল হাসপাতাল। নিগৃহীতার অবস্থা এখন অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।  চব্বিশ ঘণ্টার মাধ্যমে এই ঘটনার কথা এদিনই কানে যায় পুলিস কমিশনারের। এরপরই গতি পায় তদন্ত।
এঘটনায় সত্যিই  কোনও পাচার চক্রের হাত নেই তো?  একথাই এখন সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে পুলিসকে। অপরাধীদের খোঁজে চলছে তল্লাসি।