দূষণে দিল্লির মিরর ইমেজ শিলিগুড়ি। হাঁসফাঁস মানুষ। আজ সকালেই সাদা চাদরে ঢেকে যায় শহর। নগরায়ণের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে শহর ডুবছে ধোঁয়াশায়। বাড়তি গাড়ি, বাড়তি অটো, ছট পুজোর বাড়ি, হাজার হাজার নির্মাণ। সবের মিলিত ফল, বাতাসে মিশেছে ধুলোবালি, বিষাক্ত গ্যাস। দিনরাতের অনিয়মের ফল মিলল ভোরবেলা। মর্নিং সিকনেসে অসুস্থ শহর শিলিগুড়ি। ভোরের তাজা বাতাস নিতে বেরিয়ে প্রাতঃভ্রমণকারীরা পেলেন শ্বাসকষ্টের পুরস্কার।


আর ওপড়ুন - বায়ুদূষণের কারণে মূল ফটক থেকে দেখাই যাচ্ছে না তাজমহল


এদিকে, দূষণের চাদরে  দিল্লি সহ গোটা রাজধানী এলাকা। দিল্লিতে দিনেই অন্ধকার। ধোঁয়াশায় হাঁসফাঁস মানুষ। আগ্রায় দেখা যাচ্ছে না তাজমহল। জরুরি অবস্থা জারি করেছে উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের জেলা প্রশাসন। কতটা নিরাপদ কলকাতা? দিল্লির পরিস্থিতি এখনও এখানে নেই। দূষণের মাত্রাও অসহনীয় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু, আগামী দিনেও কলকাতা, দিল্লি হয়ে উঠবে না এমন কোনও নিশ্চয়তা রয়েছে কি? উত্‍সবের মরশুমে দূষণ নিয়ে চিরকালই সরব পরিবেশবিদরা। এবারও প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবাধে ফেটেছে শব্দবাজি। শব্দবাজি ছাড়া আতশবাজির বহুল ব্যবহারেও বায়ুদূষণ হয়। তাই ঘটেছে এবার দিল্লি সহ গোটা রাজধানী অঞ্চলে। কলকাতা এই বিষ থেকে কতদিন বাঁচতে পারবে। আমাদের কি সতর্ক হওয়ার সময় আসেনি? উঠছে প্রশ্ন। বায়ুদূষণে অনেক্ষেত্রেই দিল্লির কাছাতাছি পৌছে গিয়েছে কলকাতা। মত পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের।