টাটা মোটরসের স্বার্থে আইন ভাঙা যেতে পারে না: সুপ্রিম কোর্ট, সিঙ্গুর নিয়ে তোপের মুখে রাজ্যসরকারও
সুপ্রিম কোর্টের আতস কাঁচের নীচে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ। বিচারপতিদের তোপেরমুখে পড়ল টাটা ও রাজ্য সরকার। টাটা মোটরসের স্বার্থে আইন ভাঙা যেতে পারে না বলে আজ মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ভি গোপালগৌড়া ও বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্রর বেঞ্চে চলছে সিঙ্গুর জমি মামলার চূড়ান্ত পর্বের শুনানি। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে টাটামোটরসের আইনজীবী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আমন্ত্রণেই তাঁরা রাজ্যে এসেছিলেন। সিঙ্গুরের জমি সরকারই তাঁদের দেখিয়েছিল।
ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের আতস কাঁচের নীচে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ। বিচারপতিদের তোপেরমুখে পড়ল টাটা ও রাজ্য সরকার। টাটা মোটরসের স্বার্থে আইন ভাঙা যেতে পারে না বলে আজ মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ভি গোপালগৌড়া ও বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্রর বেঞ্চে চলছে সিঙ্গুর জমি মামলার চূড়ান্ত পর্বের শুনানি। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে টাটামোটরসের আইনজীবী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আমন্ত্রণেই তাঁরা রাজ্যে এসেছিলেন। সিঙ্গুরের জমি সরকারই তাঁদের দেখিয়েছিল।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী তাঁর সওয়ালে পাল্টা বলেন, তাঁদের মনে হচ্ছে আইন মেনে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। সরকার ও টাটার আইনজীবীদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ চলে সওয়াল জবাব। টাটা মোটরসের আইনজীবী যুক্তি দেন, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয়েছিল।সরকার বদলের পর সরকারের অবস্থান বদল হওয়া ঠিক নয়। এখন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার এমন কিছু নথি পেশ করছে যা কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা হয়নি। এ ভাবে শীর্ষ আদালতে নতুন নথি পেশ করা যায় না। হলফনামায় রাজ্য সরকার বলেছে, সিঙ্গুরের জমি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গে টাটাদের চুক্তি হয়।এখন সরকার বলছে, জমি অধিগ্রহণ আইন মানা হয়নি। যদিও হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে আগে কখনও একথা বলেনি তারা।
এদিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়ে টাটা মোটরস ও রাজ্যসরকার।
টাটার স্বার্থে আইন দুরমুশ হতে পারে না। টাটারা তো প্রায় দানের জমি পেয়েছে। জনগণের টাকায় অধিগৃহীত জমি ভোগ করা হচ্ছে। মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত। টাটার আইনজীবী যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন, জমি তাঁরা সরাসরি কেনেননি। সরকার তাঁদের জমি দিয়েছিল। তাই জমি অধিগ্রহণ নিয়ে তাঁদের দায়ী করা যায় না।
বৃহস্পতিবার, সিঙ্গুর মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর জন্য টাটা মোটরসের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়।