ওয়েব ডেস্ক: মদ্যপ বাবার কীর্তি। মাকে সার্টিফিকেট দেখাতে গিয়ে  স্নান করতে সামান্য দেরি হয়েছিলে ছেলের। এতেই সপ্তমে চড়ে যায় বাবার মেজাজ। ছেলেকে মারতে শুরু করেন চড়, ঘুসি, কিল। এত মার সহ্য করেত পারেনি কিশোর। দুদিন যুদ্ধ করার পর মৃত্যু হল হাসপাতালে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ঘটনা। স্নান করতে একটু দেরি। এতবড় অপরাধ? মানতে পারেনি মদ্যপ বাবা। নেশার ঘোরে বেধড়ক ঘুসি। তারপর পাথরের ওপর ফেলে বুকে বেপরোয়া লাথি। ক্লাস সেভেনের কিশোরের শরীর এত নির্মমতা সহ্য করতে পারেনি। দুদিনের লড়াইয়ের পর হার মেনেছে।ঢোলে পড়েছে মৃত্যুর কোলে। রায়গঞ্জের কালীতলার বাসিন্দা সুব্রত রায়। পেশায় গাড়ির খালাসি। একমাত্র ছেলে সুজন। পড়াশোনা থেকে NCC সবেই চোস্ত।  ২৬ জানুয়ারি NCC প্যারেডে রীতিমতো সার্টিফিকেটও পায়।পরের দিন মাকে সেই সার্টিফিকেটাই দেখাচ্ছিল সুজন। তাতেই মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায়  সুব্রতর। নেশার ঘোরে শুরু হয় ছেলেকে বেধড়ক মার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন ভাঙড়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন অধীর চৌধুরী


বুকে বেপরোয়া লাথি বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারেনি সুমন। মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু হতে। তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুমনকে। সেখান থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ। শনিবার রাত সেখানেই মারা যায় সুমন।নাতির মৃত্যুর জন্য ছেলের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সুব্রতের মা।সুমনের মামার অভিযোগের ভিত্তিতে সুব্রত রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন  আউশগ্রাম থানা দুর্গে পরিণত, গোটা থানা ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র পুলিস