ওয়েব ডেস্ক: ইলেকট্রিক আয়রনের তার জড়িয়ে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন। তারপর পাশের বাড়ির বছর বারোর এক কিশোরীর মাথায় রডের বাড়ি। বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে বিক্রম মণ্ডলকে। কেন যুবকের এই অস্বাভাবিক আচরণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বাবার দাবি, ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। সন্ধেয় মায়ের সঙ্গে বসে গান গাইছিল বিক্রম মণ্ডল। অভিযোগ,  গান গাইতে গাইতেই আচমকা পাশে থাকা ইলেকট্রিক আয়রনের তার জড়িয়ে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বিক্রম। আচমকা হামলায় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় মা মিতা মণ্ডলের। এরপরেই শাবল হতে পাশের বাড়িতে ছুটে যায় বিক্রম। শাবল দিয়ে পড়শি কিশোরীর মাথায় আঘাত করে।


আশঙ্কাজনক আবস্থায় জখম কিশোরীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তের বাবার দাবি, বিক্রম মানসিক ভারসাম্যহীন। বাঁকুড়ার ইন্দাসের বাগিচাবাঁধ গ্রামের বিক্রম মণ্ডল স্থানীয় ডি এড কলেজের ছাত্র। বহুদিন ধরেই মানসিক রোগের চিকিত্‍সা চলছিল তার। দাবি করেছেন বিক্রমের আত্মীয়রা।


মা ছাড়া বিক্রমের এক মুহুর্ত চলত না। মাকে হত্যা ও কিশোরীর ওপর হামলা চালানোর পর নিজের ঘরে ফিরে এসে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। পরে পুলিস দরজা খুলে গ্রেফতার করে বিক্রমকে। কেন যুবকের এই অস্বাভাবিক আচরণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।