রাজ্যে এনসেফ্যালাইটিস ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে এনসেফ্যালাইটিস ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে।
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে এনসেফ্যালাইটিস ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসই সার, জেলাজুড়ে সর্বত্র অব্যবস্থার ছবি স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও প্রশাসন কার্যত উদাসীন। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র চিকিত্সা পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। জনসচেতনতা বাড়াতেও থেকে যাচ্ছে প্রশাসনিক খামতি।
৩১ জুলাই জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন কোতোয়ালি থানার কচুয়া বোয়ালমারির প্রধানপাড়ার প্রৌঢ় শচীমোহন সরকার। শনিবার রাত দশটায় এনসেফ্যালাইটিসে মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, সংক্রমণের ভয়ে তাঁর দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে দেননি গ্রামবাসীরা। জলপাইগুড়ি হাসপাতাল লাগোয়া শ্মশানেই তাঁর অন্ত্যেষ্টি হয়।
জনসচেতনায়ও ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতেই বালুরঘাট হাসপাতালে মারা যান সুনইল গ্রামের বাসিন্দা সমর মণ্ডল। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামেরই হাতুড়ে চিকিত্সকের কাছে ওষুধ নিচ্ছেন তাঁরা। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কিন্তু গ্রামে দেখা যাচ্ছে না কোনও মেডিক্যাল টিমের। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে শনিবার মারা যায় তিন বছরের অয়ন কুচলান। বিষ্ণুপুরের গোপালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। এখনও টনক নড়েনি পুরসভা, স্থানীয় প্রশাসনের। বিষ্ণুপুর হাসপাতাল চত্বরে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োরের দল। এলাকার নিকাশি নালাগুলিও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে অভিযোগ। সাফাইয়ের অভাবে উপচে পড়ছে ভ্যাট।
পুরসভা অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এনসেফ্যালাইটিসে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবুও প্রশাসনের উদাসীনতার ছবিই ফুটে উঠছে। শুয়োর ধরা বা মশা মারার তেল ছড়ানোয় পুরসভার নজরদারিও ফিকে। আর কবে টনক নড়বে প্রশাসনের ? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।