`ক্লাসে` বৃষ্টি পড়ছে যে, ছাতা মাথাতেই চলছে পঠনপাঠন!
`আয় বৃষ্টি ঝেঁপে... ধান দেব মেপে।` বাংলার আর পাঁচটা গ্রাম যখন গ্রীষ্মে পুড়তে পুড়তে বৃষ্টির জন্য আকুলভাবে প্রার্থনা করে, তখন কিন্তু পাহাড়ের ছোট ছোট বাচ্চারা মনমরা হয়ে যায়। কেন জানেন? বর্ষা এলেই তো আবার সেই ঝক্কি। এক ঝামেলা পোহাতে হবে স্কুলে গিয়ে। মাথায় ছাতা ধরে বসে ক্লাস করতে হবে। এভাবে কী আর পড়াশোনায় মন বসে? আর এভাবে কতদিনই বা পারা যায়! কিন্তু, ওদের পারতে হয়।
ওয়েব ডেস্ক : "আয় বৃষ্টি ঝেঁপে... ধান দেব মেপে।" বাংলার আর পাঁচটা গ্রাম যখন গ্রীষ্মে পুড়তে পুড়তে বৃষ্টির জন্য আকুলভাবে প্রার্থনা করে, তখন কিন্তু পাহাড়ের ছোট ছোট বাচ্চারা মনমরা হয়ে যায়। কেন জানেন? বর্ষা এলেই তো আবার সেই ঝক্কি। এক ঝামেলা পোহাতে হবে স্কুলে গিয়ে। মাথায় ছাতা ধরে বসে ক্লাস করতে হবে। এভাবে কী আর পড়াশোনায় মন বসে? আর এভাবে কতদিনই বা পারা যায়! কিন্তু, ওদের পারতে হয়।
ছবিটা দার্জিলিং জেলার মিরিকের মুরমাহ প্রেমসুন্দর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের। এরকম একটা নয়। শুধু মুরমাহ প্রেমসুন্দর স্কুলই নয়। এরকম আরও অনেক স্কুল রয়েছে পাহাড়ে। যেখানে বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁয়ে জল পড়ে। একটু আধটু নয়। বৃষ্টি হলেই ধারায় জল পড়তে থাকে ক্লাসঘরের ছাদ থেকে। যার জেরে ছাতা নিয়ে বসে ক্লাস করতে হয় পড়ুয়াদের। বর্ষা যত বাড়ে, ততই অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়। বর্ষাকালে ভূমিধস পাহাড়ের অতি পরিচিত ঘটনা। সেসময় তো পঠনপাঠনই বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু কেন এরকম বেহাল দশা স্কুলঘরগুলির?
পাহাড়ে স্কুলগুলির দেখাশোনা করে GTA। রোশন গিরি অভিযোগ করলেন, রাজ্য সরকার থেকে পর্যাপ্ত টাকা পাওয়া যায় না। পাল্টা অভিযোগও আছে। সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্য প্রচুর টাকা দেয়। কিন্তু সে টাকা ব্যবহার করা হয় না।