রাজ্যের ক্লাস থ্রির পড়ুয়াদের বেহাল দশা; উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
রাজ্যের ক্লাস থ্রির পড়ুয়াদের বেহাল দশা। ভয়ানক তথ্য সামনে এনে দিল সর্বশিক্ষা মিশনের সমীক্ষা। অঙ্ক পারে না, বাংলা জানে না, এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। নড়বড়ে ভিতের জন্য বাড়তে পারে স্কুল ছুটের সংখ্যাও। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সমীক্ষার রিপোর্টে।
ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যের ক্লাস থ্রির পড়ুয়াদের বেহাল দশা। ভয়ানক তথ্য সামনে এনে দিল সর্বশিক্ষা মিশনের সমীক্ষা। অঙ্ক পারে না, বাংলা জানে না, এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। নড়বড়ে ভিতের জন্য বাড়তে পারে স্কুল ছুটের সংখ্যাও। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সমীক্ষার রিপোর্টে।
রাজ্যের শিক্ষার হাল কি? প্রাথমিক শিক্ষায় কতটা ভিত তৈরি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের?
প্রতি বছর সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে আনুমানিক ৬০ লক্ষ শিশু প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এই ছাত্রছাত্রীরাই যখন ক্লাস থ্রিয়ে উঠছে, তখন ওয়ান আর টুতে তারা আদৌ কতটা শিখতে পারছে? এ সমস্ত প্রশ্নগুলিকে সামনে রেখেই সমীক্ষা চালায় সর্বশিক্ষা মিশন। গত বছর ক্লাস থ্রিয়ের ছাত্রছাত্রীদের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষা নেওয়া হয় বাংলা এবং অঙ্কর। ৪০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। কলকাতার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় গড়ে নম্বর উঠেছে ১৯। অর্থাত্ ৪৭.৪ শতাংশ। অঙ্কের ক্ষেত্রে গড় নম্বর ২৫.৮। অর্থাত্ ৬৪.৪ শতাংশ। বাংলার ক্ষেত্রে অক্ষর জ্ঞান, শব্দ তৈরি, বাক্য গঠন, পড়ার অভ্যাস, নিজে থেকে লিখতে পারে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলি দেখা হয়। আর সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
৫৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ক্লাস থ্রির উপযোগী প্যাসেজ পড়তে পারে না
৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বাক্য গঠন করতে পারে না
৭৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মৌলিক রচনা লিখতে পারে না
অঙ্কের ক্ষেত্রে দেখা হয়, যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ-সময়-টাকা পয়সার হিসেব এবং সংখ্যার স্থান নির্ণয়। সেখানেও উঠে এল ভয়াবহ তথ্য।
দেখা যাচ্ছে ২৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী যোগ করতে পারে না
৪১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বিয়োগ করতে পারে না
৫২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী গুণ করতে পারে না
৪২ শতাংশ সংখ্যার স্থান বুঝতে পারে না
রিপোর্টে পরিষ্কার লেখা হয়েছে, যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের ভিতই তৈরি হচ্ছে না, ফলে পরবর্তী সময়ে অঙ্কের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হচ্ছে। আর সে জন্য স্কুলছুটের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে।
মূল যে দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে উচ্চশিক্ষায় এই ছাত্রছাত্রীরা যাবে, সেই দুটি বিষয়ে কাঁচা থেকে যাচ্ছে ছেলেমেয়েরা।