ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শুভেন্দু থাকবেন তাঁর মন্ত্রিসভায়।  শুভেন্দু নন্দীগ্রামের প্রার্থী হলে শহিদের মা ফিরোজা বিবিকে অন্য আসন দেওয়া হবে কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রামে সরকারি অনুষ্ঠান। জেলায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পরই কিছুটা যেন আবেগতাড়িত মুখ্যমন্ত্রী।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, নন্দীগ্রাকে ভুলব না...


এরপর যে ঘোষণাটা করলেন, তার জন্য সম্ভবত তৈরি ছিলেন না অধিকারী পরিবারও। নন্দীগ্রামে তাঁর প্রধান সেনাপতিকে শুধু প্রার্থী নয়, এক্কেবারে তাঁর পরবর্তী মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবেও ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।



গোটা জমায়েতে একটাই ফিসফিসানি। নন্দীগ্রাম থেকে তাহলে প্রার্থী হচ্ছেন না শহিদের মা ফিরোজা বিবি? মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কাছে টেনে নিলেও এই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি।


মমতা জিজ্ঞাসা করলেন, কি শুভেন্দু কোনও আপত্তি নেই তো???


প্রশ্ন হচ্ছে হঠাত করে কেন ভোটের এত আগে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সাংসদ পদ থেকে সরিয়ে শুভেন্দুকে প্রার্থীর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী? দুই মেদিনীপুরের দায়িত্বে শুভেন্দু। অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদেরও দায়িত্ব তাঁর ওপর। তিন জেলাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে। একসময় দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর মান অভিমানের কথা সকলের জানা। সেকারণে খোয়াতে হয়েছিল দলের যুব সভাপতির পদ। তবে গোষ্ঠী কোন্দলের মধ্যেও অধিকারীদের ওপরেই যে তিনি আস্থা রাখছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।