রেলের ইতিহাসে এইটাই প্রথম যা আজ হাওড়া স্টেশনে হল
লিভারের হাতল টেনে কারও কেটে গেছে ২৬ বছর কারও বা আরও বেশি। নাওয়া-খাওয়া ভুলে একটানা আটঘন্টা টেনে নিয়ে যেতে হয় ট্রেন। কারণ ট্রেনের চালক ওরা। সময়ে ট্রেনে ছাড়া আর গন্তব্যে পৌছানো এর মধ্যেই আটকে ছিল ওদের জীবন। আর তাদেরকেই এই প্রথম সম্মান জানালো ভারতীয় রেল। তাও আবার হাওড়া ডিভিশন।
ওয়েব ডেস্ক: লিভারের হাতল টেনে কারও কেটে গেছে ২৬ বছর কারও বা আরও বেশি। নাওয়া-খাওয়া ভুলে একটানা আটঘন্টা টেনে নিয়ে যেতে হয় ট্রেন। কারণ ট্রেনের চালক ওরা। সময়ে ট্রেনে ছাড়া আর গন্তব্যে পৌছানো এর মধ্যেই আটকে ছিল ওদের জীবন। আর তাদেরকেই এই প্রথম সম্মান জানালো ভারতীয় রেল। তাও আবার হাওড়া ডিভিশন।
অফিসে ঢুকে পাঞ্চ করা, অ্যালকোহল টেষ্ট করা, আর পাঁচটা দিনের মতই বুধবারও এমনটাই করেছিলেন ওরা। কিন্তু বুধবারের সঙ্গে অন্যদিনের একটু ফারাক।অন্যদিন সই করে ছুটতে হয় ট্রেন চালাতে। কিন্তু এদিন ওদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল ওয়ার্কশপ। না , কোনও প্রশিক্ষন দিতে নয়, ওদের বোঝাতে যে ওরা ভারতীয় রেলের সম্পদ।
এতেই শেষ নয় । চালকের পরিবারের লোকেরাও যাতে জানতে পারেন কাজের গুরুত্ব সেজন্য রীতিমত বাড়ি গিয়েও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করলেন রেলের বড় কর্তারা।
আরও পড়ুন- কুলির চাকরি করতে আবেদন পাঁচ এমফিল, আড়াইশো এমএ, দশ হাজার গ্র্যাজুয়েটের
কিন্তু কেন হঠাৎ এই ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ? উত্তরে পাওয়া যাচ্ছে কর্মীদের প্রতি সংস্থার অপার কৃতজ্ঞতা। শুধু ট্রেন চালকদের সম্মানিত করে এই উদ্যোগ বন্ধ করতে রাজি নয় রেল কর্তারা। প্রতি মাসে এক একটি বিভাগের কর্মীদের এভাবেই সম্মানিত করতে চায় হাওড়া ডিভিশন। আর গোটা দেশে রেলে এধনের উদ্যোগ এই প্রথম নিল কোনও ডিভিশন।