ভোটে জিততে শাসক-বিরোধী দু-পক্ষই শান দিচ্ছে নানা ইস্যুতে
বছর বছর বন্যা আর মাদুর শিল্পে সবংয়ের পরিচিতি। কংগ্রেসের খাসতালুক সবং, মানস ভুঁইঞাকে ৬ বার পাঠিয়েছে বিধানসভায়। ৭ বছর আগে মঙ্গলকোটে ধানমাঠের এই ছবি ভোটের মুখে সবংয়ের রুক্ষ মাটিতে এসে এক্কেবারে উধাও। গোড়ায় জোটের বিরোধিতা করেও এখন খোলাখুলি লাল ঝান্ডা ধরেছেন সবংয়ের ভুমিপুত্র।
ওয়েব ডেস্ক: বছর বছর বন্যা আর মাদুর শিল্পে সবংয়ের পরিচিতি। কংগ্রেসের খাসতালুক সবং, মানস ভুঁইঞাকে ৬ বার পাঠিয়েছে বিধানসভায়। ৭ বছর আগে মঙ্গলকোটে ধানমাঠের এই ছবি ভোটের মুখে সবংয়ের রুক্ষ মাটিতে এসে এক্কেবারে উধাও। গোড়ায় জোটের বিরোধিতা করেও এখন খোলাখুলি লাল ঝান্ডা ধরেছেন সবংয়ের ভুমিপুত্র।
২০১১-র বিধানসভা ভোটে সবংয়ে কংগ্রেসের মানস ভুঁইঞা ১৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে সবং বিধানসভায় কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে মাত্র ৬৮ ভোটে এগিয়ে যায় বামেরা। বামেদের সমর্থনে এবারও সবংয়ে কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইঞা। তাঁর এক সময়ের রাজনৈতিক শিষ্য বলে পরিচিত নির্মল ঘোষ ঘাসফুলের প্রার্থী। ময়দানে রয়েছেন সবং কলেজের অধ্যাপক বিজেপি প্রার্থী কাশীনাথ বসুও।
এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, খাতায়-কলমে বিজেপি প্রার্থী থাকলেও সবংয়ে লড়াইটা আসলে মানস-নির্মলের। ভোটে জিততে শাসক-বিরোধী দু-পক্ষই শান দিচ্ছে নানা ইস্যুতে।
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার, সবং কলেজে ছাত্র খুন, মাদুর শিল্পে সঙ্কট। এসবই ভোটের ইস্যু। উন্নয়নের ইস্যুতে সবংয়ের মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আর প্রার্থীরা তাই নিজেদের জয় নিয়ে আশাবাদী। উন্নয়ন কতটা হয়েছে হয়নি সেসব ছাপিয়ে সবংয়ের ঘরে ঘরে এখন শুধুই জোট নিয়ে আলোচনা। লাল ছাতা মাথায় মানস ভুঁইঞা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। আর প্রচারে শাসক শিবির উস্কে দিচ্ছে মঙ্গলকোট পর্বের অস্বস্তিকর স্মৃতি।