ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের চাপ। তত্পর পুলিস। একের পর এক পুরনো মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। অথচ এতদিন এঁদের কেউ ছিল ফেরার, কেউ বা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াত পুলিসের নাকের ডগায়। শাসক দলের নেতা-কর্মী বলে পুলিসও এড়িয়ে যেত এঁদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেতুগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুঁজে পায়নি পুলিস। খুঁজে পায়নি রায়নায় সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মীকেও। শনিবার নির্বাচন কমিশনের চাপে গ্রেফতার হয় চার অভিযুক্তই।


গত বছর ৬ অগস্ট কেতুগ্রামের কাটারি গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনায় নাম জড়ায় চারজনের। তিনজনকে গ্রেফতার করলেও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তুফান শেখকে ধরেনি পুলিস। পুলিসের খাতায় তুফান ছিল ফেরার। অথচ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা তুফানকে এলাকায় হামেশাই ঘুরতে দেখা যায়। কমিশনের নির্দেশে অবশেষে গ্রেফতার তুফান।  


২০০৯ থেকে পুলিসের খাতায় বেপাত্তা থাকলেও এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াত পুরশুড়ার তৃণমূল নেতা সেখ ফরিদ ওরফে টিঙ্কু। বিধায়ক পরভেজ রহমনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ টিঙ্কু। তার বিরুদ্ধে খুন,রাহাজানি,ঘর পোড়ানো,মারধর সহ একাধিক অভিযোগ। কমিশনের নির্দেশে পুরশুড়ার ন্যাওটা থেকে গ্রেফতার টিঙ্কু। শুধু গ্রেফতারই নয়। বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারেও সক্রিয় পুলিস। রবিবার নানুরের রোহিনী গ্রামের একটি মাঠে দুই ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিস। আর এসবের মাঝেই কমিশনের বার্তা, ভোটারদের আস্থা ফেরাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে কমিশন।