ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেসের হাত থেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ ছিনিয়ে নেওয়া তৃণমূলের পরের টার্গেট। মানস ভুঁইঞা সহ তেরো জন কংগ্রেস
বিধায়কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে বলে খবর। পনেরো জন কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙিয়ে আনতে পারলেই নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলনেতার পদ খোয়াবেন আবদুল মান্নান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদা-মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়ার কাজ অনেকটা শেষ। তৃণমূলের অন্দরের খবর, বিধানসভায় কংগ্রেসকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়াই এ বার তাদের টার্গেট।


আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদে অপ্রাসঙ্গিক হচ্ছে অধীর আধিপত্য


বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হন ৪৪ জন বিধায়ক। তারমধ্যে ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়ককে তৃণমূলে টানতে পারলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে না। আর যদি ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন, সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলনেতার পদও খোয়াবে কংগ্রেস।


তৃণমূল সূত্রে খবর, দলত্যাগ নিয়ে বারো থেকে চোদ্দো জন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
সবংয়ের মানস ভুঁইঞা, ফরাক্কার মইনুল হক, মুর্শিদাবাদের শাওনী সিংহ রায়, বড়ঞার প্রতিমা রজক, নওদার আবু তাহের খান, রঘুনাথগঞ্জের আখরুজ্জামান, মোথাবাড়ির সাবিনা ইয়াসমিন, রতুয়ার সমর মুখোপাধ্যায়, মালতীপুরের আলবিরুনি জুলকারনাইন, চাঁচোলের আসিফ মেহবুব, পুরুলিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায়, বাগদার দুলাল বর ও বাঁকুড়ার শম্পা দরিপা। এই তেরো জন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে দলত্যাগ নিয়ে তৃণমূলের কথাবার্তা চলছে বলে খবর।


আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস


ভাঙনের আশঙ্কায় বিধায়কদের বেঁধে রেখার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। বিধান ভবনের নেতারা তাঁদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অজয় দে-অসিত মাল-রা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে হেরে গেছেন। তবে, বিধায়করা এই উদাহরণ কতটা মনে রাখবেন তা নিয়ে চিন্তায় অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নানরা। রাজনৈতিক মহল বলছে, জল যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে আগামী পাঁচ বছর বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ ধরে রাখা
কংগ্রেসের কাছে সত্যিই চ্যালেঞ্জের।