ওয়েব ডেস্ক: ফের দখল রাজনীতির জন্য মৃত্যু হল নানুরে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন এক তৃণমূলকর্মী। ভোট মেটার পর দিন কয়েক নানুর শান্ত ছিল। ফল প্রকাশের পর আবার অশান্তি। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এখন অগ্নিগর্ভ নানুর। সিঙ্গি গ্রামে আজ বোমাবাজি হয়। একটি তৃণমূল কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামে হানা দিচ্ছে বন্দুকবাহিনী। শান্তি নেই। খালি রক্ত। শুধুই দখল। একটাই চাহিদা, প্রশ্নহীন আনুগত্য চাইছে রাজনীতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাড় বঙ্গে থেকে এই চড়া গরমেও সবুজ নানুর। জল না শুকানো পুকুর। চোখ জুড়িয়ে যাওয়া শান্তি। কিন্তু বড় উত্তাল। শান্তি নেই দিনে-রাতে। কখন যে হামলা চালায় বন্দুকবাহিনী, কখন যে খড়ের চালে কেরোসিন ঢেলে দেশলাই জ্বালাবে, জানেনা কেউ। অভিযোগ লড়াই চলছে গদাধরের সঙ্গে কাজলের।


তৃণমূলের দুই নেতা গদাধর হাজরা ও কাজল শেখের অনুগামীদের সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে নানুর। গত বিধানসভা নির্বাচনে নানুরের প্রায় ৫০টি বুথে প্রথমে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। গদাধর হাজরাকে হারাতে কাজল শেখই অন্তর্ঘাত করে বলে মনে করা হয়।


ভোট মিটলেও মিটছে না অশান্তি। চলছে দখল ও বদলার লড়াই। সোমবার সকালেই নানুরের নাহিনা গ্রামে সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর হয়। সিঙ্গি গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। আবার বালিবনি গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে জ্যারিকেন ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে কাজলের অনুগামীরাই বোমা রেখে পুলিসকে খবর দিয়েছে।


ভোট হল, মিটে গেল সবকিছু নানুরে এমনটা নয়, ভোট মিটলেও নানুর সেই নানুরেই। সৌজন্যে সেই গদাধর ও কাজল।